• খাদিম-কর্তা অপহরণে কলকাতা হাইকোর্টে বেকসুর খালাস আখতার হোসেন
    এই সময় | ২৭ মার্চ ২০২৫
  • শমীক ঘোষ

    খাদিম-কর্তা অপহরণে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আখতার হোসেনকে বেকসুর মুক্তি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ আখতারকে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়েছে।

    আখতারের আইনজীবী কল্লোল মণ্ডল জানান, ২০০১-এর ২৫ জুলাই সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ খাদিম গ্রুপের অন্যতম কর্ণধার পার্থপ্রতিম রায় বর্মনকে তাঁদের তপসিয়া রোডের গোডাউনে যাওয়ার সময় অপহরণ করে সশস্ত্র কয়েক জন দুষ্কৃতী। পার্থবাবুকে তাঁর গাড়ি থেকে নামিয়ে টেনে হিঁচড়ে তাদের গাড়িতে তুলে নেয় অপহরণকারীরা। খাদিম-কর্তার গাড়িচালক নবকুমার মণ্ডল প্রথমে পরমা তদন্ত কেন্দ্রে অপহরণের অভিযোগ জানান। পরে পার্থবাবুর ভাই সিদ্ধার্থ রায় বর্মন তিলজলা থানায় লিখিত অভিযোগ জানান।

    হাইকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী কল্লোল জানান, অপহরণের মামলায় চার্জশিটে নাম ছিল তাঁর মক্কেল আখতারেরও। কিন্তু আখতার পলাতক ছিলেন। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করে বিচারের জন্য আদালতে হাজির করায় পুলিশ।

    পুলিশ জানায়, অপহরণের পরে পার্থপ্রতিম রায় বর্মনকে হাড়োয়ার ভূতবাংলোয় রাখা হয়েছিল। ৩ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ নিয়ে ছাড়া হয় খাদিম-কর্তাকে। মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছিল ৫ কোটি টাকা।

    আখতারের আইনজীবী জানান, হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ তাঁর মক্কেলকে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে জানিয়েছে, যে বন্দুক দিয়ে খাদিম-কর্তার হাতে গুলি করা হয় তা তিনিই সরবরাহ করেছিলেন এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি। আখতার ভূতবাংলোয় খাদিম-কর্তার পাহারায় ছিলেন বলেও প্রমাণ মেলেনি। এ ছাড়া তাঁকে কোনও সাক্ষী আদালতে শনাক্তও করতে পারেননি।

    খাদিম-কর্তা অপহরণে নিম্ন আদালত ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর আখতার-সহ মোট ৮ জনকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছিল। অপহরণ, ষড়যন্ত্র ও অস্ত্র আইনে দোষী সাব্যস্ত হয় সকলে। তার মধ্যে বেকসুর খালাস পেলেন আখতার। হাইকোর্টে আপিল মামলার শুনানি শেষ হয় গত ১৬ জানুয়ারি। মামলার রায়দান স্থগিত রাখে হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা হয়।

  • Link to this news (এই সময়)