• হাওড়ার দুর্ভোগে পাশে দাঁড়াচ্ছে পড়শি জেলা, কঠিন বর্জ্র পাঠানো হবে বৈদ্যবাটি
    এই সময় | ২৮ মার্চ ২০২৫
  • একে অপরের পড়শি। দুটি জেলারই ঐতিহাসিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম। এক জেলার সমস্যায় পাশে দাঁড়াল আর এক জেলা। হাওড়ার ‘জঞ্জাল’ দুর্ভোগে সাহায্য করতে প্রস্তুত প্রতিবেশী হুগলি। হাওড়ার বেলগাছিয়ার ভাগাড় নিয়ে যখন চর্চা তুঙ্গে, তখনই এগিয়ে এল হুগলির বৈদ্যবাটি পুরসভা। 

    বৈদ্যবাটি পুরসভার ৫২ একর জায়গা জুড়ে রয়েছে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান্ট। সেখানে প্রতদিন ৫০০-৬০০ টন বর্জ্য জমা পড়ে। হাওড়ার বর্জ্য নিতে কোনও অসুবিধা হবে না বলেই মনে করছে বৈদ্যবাটি পুর কর্তৃপক্ষ। জঞ্জাল সরানোর জন্য ইতিমধ্যেই বিকল্প ব্যবস্থা শুরু হয়েছে। বেলগাছিয়ার ভাগাড়ের পরিবর্তে আবর্জনা ফেলা হবে হুগলির বৈদ্যবাটিতে। সেখানে প্রায় আড়াইশো মেট্রিক টন আবর্জনাকে স্থানান্তরিত করা হবে বলে জানা গিয়েছে। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এই প্রসঙ্গে বলার পরেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বৈদ্যবাটি পুরসভা।

    হুগলির বৈদ্যবাটিতে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান্ট-এ মোট সাতটি পুরসভার কঠিন বর্জ্য পদার্থ এসে জমা হয়। সেখান থেকে বর্জ্য রিসাইক্লিং-এর মাধ্যমে বিভিন্ন সার ও অন্যান্য ব্যবহারযোগ্য জিনিস তৈরি করা হয়। ফলত, পার্শ্ববর্তী জেলা হাওড়ার বর্জ্য নিয়ে আসা হলে শুধুমাত্র ডাম্পিং গ্রাউন্ডে পড়ে না থেকে সেই বর্জ্য পদার্থকে রিসাইক্লিং-এর মাধ্যমে কাজে লাগানো হবে। এমনটাই জানানো হয়েছে পুরসভার পক্ষ থেকে। 

    বৈদ্যবাটি পুরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর কৃষ্ণেন্দু কুন্ডু বলেন, ‘পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের ঘোষণার পর থেকেই তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে বৈদ্যবাটি পুরসভার সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে। কঠিন বর্জ্য পদার্থ যা এখানে আনা হবে সেই জায়গাও প্রস্তুত করা হয়েছে।’ তিনি জানান, এখানে যে পরিকাঠামো রয়েছে, তা দিয়ে অনেক বেশি পরিমাণ আবর্জনা রিসাইকেল করা যায়। সাতটি পুরসভার আবর্জনা বৈদ্যবাটি প্ল্যান্টে জমা হয়। তাই হাওড়ার আবর্জবা এলেও অসুবিধা হবে না।

  • Link to this news (এই সময়)