• লাঠি-গদা ঘোরালেন দিলীপ, তৃণমূলের কটাক্ষ, ‘মানুষের মন ঘোরাতে পারবেন?’
    এই সময় | ২৮ মার্চ ২০২৫
  • কখনও হাতে লাঠি নিয়ে সাঁই সাঁই করে হাওয়ায় ঘোরাচ্ছেন। আবার কখনও দুই হাতে গদা নিয়ে কেরামতি দেখাচ্ছেন। কেন এই রুদ্রমূর্তি? বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুরে ধোবিঘাট এলাকায় একটি লাঠিখেলার প্রশিক্ষণ শিবিরে হাজির হয়ে বিজেপি নেতা দিলীপ বললেন, ‘পুলিশ, এই পার্টি-প্রশাসন হিন্দুদের সহযোগিতা করবে না। কিন্তু, নিজেদের ধর্ম, সংস্কৃতি, জীবন রক্ষার তাগিদে হিন্দুরা পথে নামবেই।’

    দু’দিন আগেই পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার অগ্রদ্বীপে ঐতিহ্যবাহী গোপীনাথ মেলা থেকে কাটারি কিনতে দেখা গিয়েছে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিকে। সেই দিন অব্যশ ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন দিলীপ। আজ দিলীপ বলেন, ‘হিন্দুরা আজ বিপন্ন। বাংলাদেশের থেকেও খারাপ অবস্থা এখানে হিন্দুদের। তাই নিজেদের ধর্ম আর জীবন রক্ষার্থে হিন্দুরা রামনবমীতে শক্তি প্রদর্শন করবে। এক কোটির বেশি হিন্দু পথে নামবে। বাধা দিতে এলে লড়াই হবে! তবে, আইনকে বাঁচিয়ে।’

    রামনবমী-কে সামনে রেখে খড়্গপুর শহরের ধোবিঘাট এলাকায় একটি লাঠিখেলার প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই হাজির ছিলেন দিলীপ ঘোষ। রামনবমীর মিছিলে বাধা দেওয়া হলে পুলিশকেও ছেড়ে কথা বলা হবে না বলে দ্বর্থ্যহীন ভাষায় জানিয়ে দেন দিলীপ। তাঁর বক্তব্য, ‘শোভাযাত্রার সঙ্গে আখড়া বেরোবে। পুলিশ বাধা দিলে, সেই শোভাযাত্রা নিয়ে থানায় গিয়ে থানা ঘেরাও করতে হবে...পুলিশের সঙ্গেও আমরা লড়বো, গুন্ডাদের সঙ্গেও লড়বো। যে সামনে আসবে তার বিরুদ্ধেই আমাদের লড়তে হবে।’

    দিলীপের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করা হয় তৃণমূলের তরফে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, ‘উনি লাঠি, গদা যা খুশি ঘোরান; মানুষের মন আর ঘোরাতে পারবেন না। মানুষের মন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে, উন্নয়ন আর সম্প্রীতির পক্ষে। এই বাংলায় সকলেই নিজেদের রীতি, আচার মেনে উৎসব-অনুষ্ঠান পালন করে থাকে। আমরা রামনবমীও পালন করব। তবে, শান্তি-শৃঙ্খলা ও সম্প্রীতি বজায় রেখে।’

  • Link to this news (এই সময়)