• ‘ঠাকুর না থাকলে কয়েক কোটিকে ধর্ম বদলাতে হত’, মতুয়া ঠাকুরবাড়িতেও হিন্দুত্বের তাস শুভেন্দুর
    প্রতিদিন | ২৮ মার্চ ২০২৫
  • রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ঠাকুরনগরের মতুয়াদের বারুণী মেলায় গিয়েও ধর্মের তাস খেললেন শুভেন্দু অধিকারী। হরিচাঁদ ঠাকুর না থাকলে কয়েক কোটি মানুষকে ধর্ম পরিবর্তন করতে হত। সেই কথাই বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। ঠাকুরবাড়ি চত্বরে দাঁড়িয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার মুখে আরও একবার সনাতনী হিন্দু ধর্মের কথা।

    উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরে মতুয়া সম্প্রদায়ের বারুণী মেলা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই শুরু হয়েছে এবছরের পুণ্যস্নান। আগামী সাতদিন ধরে চলবে মেলা। এই মেলা ঘিরে শাসক-বিরোধী চর্চাও চলছিল। বাংলার ভোট রাজনীতিতে মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক যথেষ্ঠ গুরুত্বপূর্ণ। গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে মতুয়া ভোটব্যাঙ্কের একটা বড় অংশ বিজেপিকে সমর্থন করেছে। আর ঠিক একবছর পর রাজ্যে বিধানসভা ভোট। সেই ভোটব্যাঙ্ক কোন দিকে থাকবে? সেই নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা। চলতি বছর এই মেলা তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ও শান্তনু ঠাকুরের যৌথ উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে। তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা গতকাল ঠাকুরনগরের মতুয়া ঠাকুরবাড়িতে গিয়েছিলেন। আজ সেখানে গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সকলকে প্রণাম জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কিন্তু তাঁর বক্তব্যের মধ্যে ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি উঠে এসেছে। তেমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এদিন শুভেন্দু বলেন, “এই ঠাকুর না থাকলে কয়েক কোটি মানুষ ধর্ম পরিবর্তন করে ইসলামী হয়ে যেত।” বিরোধী দলনেতা আগাগোড়া হিন্দুত্ববাদের রাজনীতি করছেন রাজ্যে। ক্রমাগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক বক্তব্য রাখতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। ঠাকুরবাড়িতে গিয়েও সেই একই ইঙ্গিত করেছেন তিনি। এমনই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। “হরিচাঁদ ঠাকুর দলিত, বঞ্চিত সমাজে শিক্ষার প্রসার ঘটিয়েছিলেন। লাভ জেহাদ, ভোট জেহাদ-সহ সব জেহাদিদের থেকে আমাদের পরিত্রাণ দিন।” সেই কথাই এদিন বলে শুভেন্দু।

    এদিন শুভেন্দুর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার-সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এদিন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গেও দেখা করেন। দু’জনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথাও হয়। গতকাল তৃণমূল সাংসদ, ঠাকুর পরিবারের সদস্য মমতাবালা ঠাকুরের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেছিলেন বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার। মাথায় হাত দিয়ে তাঁকে আশীর্বাদ করেন মমতাবালা। নিতান্ত সৌজন্য বলেই দাবি করা হয়েছিল ওই ঘটনাকে। সেই ঘটনা নিয়ে এদিন কোনও কথা বলেননি বিরোধী দলনেতা।
  • Link to this news (প্রতিদিন)