দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান! জয়রামবাটিতে গড়াল রেলের চাকা। কমিশন অব রেলওয়ে সেফটির বিশেষ ট্রেন নব নির্মিত জয়রামবাটি স্টেশনের মাটি ছুঁতেই বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস আর আবেগে ভাসলেন উপস্থিত আমজনতা। এ দিন স্টেশনে হাজির ছিলেন জয়রামবাটি মাতৃমন্দিরের সন্ন্যাসীরাও।
এক সময়ের মল্ল রাজাদের রাজধানী ‘মন্দির নগরী’ বিষ্ণুপুরের সঙ্গে শৈবক্ষেত্র তারকেশ্বরকে রেল পথে জুড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে রেল দপ্তর। তবে প্রস্তাবিত এই রেল পথ তৈরিতে বারবার বাধা মুখে পড়তে হয়। এর মধ্যেই সমস্ত সমস্যা কাটিয়ে রেল পথ তৈরির কাজও চলতে থাকে। এরই মাঝে বৃহস্পতিবার কমিশন অব রেলওয়ে সেফটির বিশেষ ট্রেন পৌঁছে যায় মাতৃভূমি জয়রামবাটিতে।
রেলের ইস্টার্ন সার্কেলের সিআরএস শুভময় মৈত্র বলেন, ‘আজ লাইন পরীক্ষার কাজ হলো। ঠিক কবে এই পথে নিয়মিত ট্রেন চলাচল করবে তা রেল কর্তৃপক্ষ ঠিক করবেন।’ উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই বাঁকুড়া থেকে ভায়া মশাগ্রাম হয়ে হাওড়া পর্যন্ত ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস চালানোর অনুমোদন দিয়েছে রেলমন্ত্রক। সম্প্রতি রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের কাছে এই বিষয়ে আবেদন করেছিলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। গত মঙ্গলবার সেই অনুমোদন মেলে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘এটা দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল। আজকে জয়রামবাটি থেকে ট্রেন চলতে শুরু করেছে। তারকেশ্বর, জয়রামবাটি, কামারপুকুর, বিষ্ণুপুর হলো ঐতিহাসিক জায়গা। রেলপথে যুক্ত হওয়ার ফলে আশা করছি, এই জায়গার মানুষের আরও উন্নতি হবে। পর্যটনের দিক থেকেও এর গুরুত্ব বাড়বে।’ ট্রেন চালু হলে হাওড়া থেকে সরাসরি জয়রামবাটি যেতে পারবেন পর্যটকরা।