• বিকল্প প্রস্তাব দিয়ে চেয়ারপার্সনকে চিঠি, টোটো নিয়ে পুরসভার সিদ্ধান্তে অখুশি তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন
    বর্তমান | ২৮ মার্চ ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: টোটো নিয়ে জলপাইগুড়ি পুরসভার সিদ্ধান্তে অখুশি খোদ তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন। চারটি পঞ্চায়েত এলাকা ছাড়া আগামী ২ এপ্রিল থেকে গ্রামের টোটো জলপাইগুড়ি শহরে ঢুকতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে পুরসভা। একইভাবে শহর এলাকার টোটোও সংশ্লিষ্ট চারটি পঞ্চায়েতের বাইরে গ্রামের কোথাও যেতে পারবে না বলে পুরসভার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

    যদিও পুর কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে মোটেই খুশি নয় রাজ্যের শাসকদলের শ্রমিক সংগঠন। এনিয়ে বেশকিছু বিকল্প প্রস্তাব সহ পুর চেয়ারপার্সনকে চিঠি দিয়েছে তারা। তাতে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, জলপাইগুড়ি শহরের যানজট নিয়ন্ত্রণ দরকার। কিন্তু টোটো নিয়ে গ্রাম ও শহরের বিভাজন করলে অশান্ত পরিবেশ তৈরি হবে। টোটোচালকদের রুটি রুজি যাতে বন্ধ হয়ে না যায়, সেটা মাথায় রেখেই যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নিতে হবে পুরসভাকে। সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র চারটি পঞ্চায়েত এলাকা নয়, জলপাইগুড়ি সদর বিধানসভার অন্তর্গত ১৫ কিমির মধ্যে যতগুলি পঞ্চায়েত রয়েছে, সব এলাকার টোটোকেই শহরে চলতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক। এক্ষেত্রে টোটো চিহ্নিত করতে বারকোড চালু করুক পুরসভা। হলদিবাড়ি, মেখলিগঞ্জ, রাজগঞ্জ, ময়নাগুড়ি, ধূপগুড়ি থেকে যেসব টোটো জলপাইগুড়ি শহরে ঢুকছে, সেগুলি বন্ধ করা হোক। 

    যদিও পুর চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল আগেই বলেছেন, টোটো নিয়ে পুরসভা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটাই বহাল থাকবে। আমরা এখনও পর্যন্ত হাজার পাঁচেক টোটোকে টেম্পোরারি আইডেন্টিফিকেশন নম্বর দিয়েছি। শুধুমাত্র ওই টোটোগুলিই শহরে চলবে।

    আইএনটিটিইউসি’র জলপাইগুড়ি টাউন কমিটির সভাপতি পুণ্যব্রত মিত্র বলেন, টোটো নিয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে পুরসভা আমাদের সঙ্গে কোনও কথা বলেনি। জলপাইগুড়ি শহরের যানজট নিয়ন্ত্রণে কিছু বিকল্প প্রস্তাব দিয়ে আমরা পুরসভার চেয়ারপার্সনকে চিঠি দিয়েছি। দেখা যাক, কী হয়। তবে শহর-গ্রামের টোটো ভাগ করতে গেলে যে অশান্ত পরিবেশ তৈরি হবে, সেটা চিঠিতে জানিয়ে দিয়েছি আমরা। তাঁর দাবি, শহরের যানজট মোকাবিলায় ব্যস্ততম রাস্তায় টোটো এবং গাড়ির জন্য ওয়ানওয়ে চালু করা যেতে পারে। অবৈধ টোটো বিক্রির দোকানগুলির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হোক।  
  • Link to this news (বর্তমান)