• কেন্দ্রের ডাকা বৈঠকের আমন্ত্রণ পাননি, ফুঁসছেন ‘বিদ্রোহী’ বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ
    বর্তমান | ২৮ মার্চ ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: পাহাড়ে ফের পদ্ম শিবিরে ‘বিদ্রোহের’ আঁচ! পাহাড় ইস্যুতে কেন্দ্রের ডাকা বৈঠকের আমন্ত্রণপত্র পাননি বিজেপির ‘বিদ্রোহী’ বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। বৈঠকের আগের দিন পর্যন্ত তিনি আমন্ত্রণপত্রের জন্য অপেক্ষা করবেন। এরপর নিজের অবস্থান স্পষ্ট করবেন বলে জানিয়েছেন। এনিয়ে পাহাড়ে পদ্ম শিবিরের কোন্দল চরমে উঠবে বলেই আশঙ্কা। যদিও, বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব বিধায়ককে গুরুত্ব দিতে নারাজ। সমগ্র পরিস্থিতি ঘিরে পাহাড়ের রাজনীতি রীতিমতো সরগরম।

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনে কার্শিয়াং কেন্দ্র থেকে জয়ী হন বিজেপি নেতা বিষ্ণুপ্রসাদ তথা বিপি বজগাঈ। গত লোকসভা ভোটে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে তিনি বিদ্রহ ঘোষণা করেছিলেন। এমনকী, তিনি নির্দল হিসেবে ভোটেও লড়াই করেন। তা সত্ত্বেও তাঁকে দল বহিষ্কার করেনি। তিনিও দলত্যাগ করেননি। এবার পাহাড় ইস্যুতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ডাকা বৈঠকের চিঠি না পেয়ে ফের ফুঁসছেন তিনি।

    বিজেপির কার্শিয়াংয়ের বিধায়ক বলেন, ওই বৈঠকের আমন্ত্রণ পাইনি। এজন্য ১ এপ্রিল পর্যন্ত অপেক্ষা করব। আমন্ত্রণ পেলে সভায় গিয়ে পৃথক রাজ্যের দাবিতে সরব হব। আর আমন্ত্রণ না পেলে নিজের অবস্থান ও পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব।

    গেরুয়া শিবির অবশ্য বিধায়ককে গুরুত্ব দিতে নারাজ। বিজেপির দার্জিলিং পার্বত্য সাংগঠনিক জেলা কমিটির সভাপতি কল্যাণ দেওয়ান বলেন, তিনি লোকসভা ভোটে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্দল হিসেবে লড়াই করেছিলেন। 

    দলের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে কথা বলে চলেছেন। কাজেই, তাঁকে ওই মিটিংয়ে ডাকার কোনও প্রশ্ন নেই। তাঁর বিষয়ে দলের রাজ্য কমিটি সবটাই জানে। এব্যাপারে যা করার রাজ্যই করবে। আর ওই বিধায়ক ট্যাঁফোঁ করলেও দলের কোনও ক্ষতি হবে না। দলে কোনও কোন্দলও বাঁধবে না।    

    প্রসঙ্গত, পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান নিয়ে বৈঠকের দাবি বহুদিনের। বিজেপির শরিক দলগুলি এব্যাপারে তাদের উপর বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করছিল। এই অবস্থায় আগামী ২ এপ্রিল দিল্লিতে বৈঠক ডেকেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী সভাপতিত্ব করবেন বলে খবর। 

    পাহাড়ে এব্যাপারে নিজেদের কৃতিত্ব জাহির করার চেষ্টা করছে বিজেপির শকির দলগুলির একাংশ। তাদের দাবির জেরেই কেন্দ্র মিটিং ডেকেছে বলে তাদের দাবি। তারা এনিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার চালাচ্ছে বলেও খবর।

    এনিয়ে বিদ্রোহী বিজেপি বিধায়ক বলেন, ২০২১ সালের ১২ অক্টোবর পাহাড় ইস্যুতে ডাকা বৈঠকে হাজির ছিলাম। সেবার মিটিংয়ে হাজির ছিলেন খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এবার থাকবেন তাঁর মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী। তাছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া চিঠিতে পাহাড় ইস্যুতে ত্রিপাক্ষিক মিটিং ডাকার কথা উল্লেখ নেই। কাজেই ওই মিটিং নিয়ে কিছু প্রশ্ন তো থাকছেই। তাঁর অনুগামীরা বলেন, পাহাড়বাসীর দাবিকে কেন্দ্র কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।      
  • Link to this news (বর্তমান)