নিজস্ব প্রতিনিধি, রানাঘাট: কাঁটাতারহীন অন্ধকার ঘুটঘুটে সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ অব্যাহত। বুধবার রাতে সেই সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে শেল্টার নিয়েছিল তিন অনুপ্রবেশকারী। গাংনাপুর থানার পুলিস বিশেষ অভিযান চালিয়ে ধরে আনল সেই অনুপ্রবেশকারীদের।
ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তের একাধিক জায়গায় এখনও নেই কাঁটাতার। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অনুপ্রবেশ চলছেই। বুধবার রাতে গাংনাপুর থানার কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে, তিন অনুপ্রবেশকারী ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েছে। গাংনাপুর থানা এলাকার একটি বাড়িতে তাদের নিরাপদ শেল্টার দেওয়া হয়েছে। এরপরই সেই বিশেষ শেল্টারে হানা দেয় পুলিসের বিশেষ দল। হাতেনাতে ধরা পড়ে তিনজন। ধৃতদের নাম জাফর মিঞা, কাজি আকাশ এবং কাজি মনিরুল হক। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত তিনজনই বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার বাসিন্দা। বুধবার রাতেই তারা রামনগরে কাঁটাতারবিহীন আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে রাতের অন্ধকারে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছিল। মূল উদ্দেশ্য ছিল রুটিরুজির খোঁজ। আন্তর্জাতিক মানব পাচার চক্রের এক দালালই তাদের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল গাংনাপুরের বিশেষ শেল্টারের। পরে সেখান থেকে তাদের অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল দালালচক্রের। যদিও পুলিসি তৎপরতায় সেই পরিকল্পনা বানচাল হয়ে যায়। আপাতত ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে দলালচক্রের সন্ধান করতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
বর্তমানে সীমান্ত এলাকার দায়িত্বে থাকা রানাঘাটের মহকুমা পুলিস আধিকারিক সবিতা গটিয়াল বলেন, আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই গ্রেপ্তার করতে পেরেছি। বুধবার রাতেই তারা এই দেশে প্রবেশ করেছিল বেআইনি পথে। কোন দলাল চক্রের হাত ধরে তারা এই দেশে এসেছিল তা জানার জন্য আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি ধৃতদের। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।
প্রসঙ্গত, শীতের মরশুমের পর খানিক বন্ধ হয়েছিল অনুপ্রবেশ। শীতের সময়ে মূলত কুয়াশার আড়ালকে কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পারাপারের কাজ চালাত দালাল চক্র। সম্প্রতি সেই প্রবণতা ফের মাথাচাড়া দিয়েছে। তবে অনুপ্রবেশকারীদের জালে পুরতে সক্রিয় হয়েছে পুলিসও। বাড়তি নজরদারি চালানো হচ্ছে রানাঘাট জেলা পুলিসের সীমান্ত লাগোয়া ৩ থানা— হাসখালি, ধানতলা এবং গাংনাপুর এলাকায়।