৩৬ কোটি টাকায় জোকা, ঠাকুরপুকুরে ১৮ কিমি খাল কাটা শুরু হবে এপ্রিলে
বর্তমান | ২৮ মার্চ ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আগামী বর্ষায় যাতে জমা জলের ভোগান্তি না হয়, তাই এপ্রিলেই ঠাকুরপুকুর, জোকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে খাল কাটার কাজ শুরু হচ্ছে। আপাতত চারটি খাল কাটার কাজে হাত লাগাচ্ছে কলকাতা পুরসভা। লক্ষ্য বর্ষার আগেই সেই কাজ শেষ করা। প্রায় ১৮ কিমি এই খাল কাটা হবে। তার জন্য ৩৬ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকার কিছু বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে। পুরসভার নিকাশি বিভাগ জানাচ্ছে, খালগুলি কোথাও জবরদখল হয়েছে। কোথাও আবার তা মজে গিয়েছে, কোথাও পুরোপুরি নিশ্চিহ্নই হয়ে গিয়েছে। সেগুলি ফিরবে পুরনো অবস্থায়। কলকাতা পুর এলাকার ১২৭, ১৪২, ১৪৩ এবং ১৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যের এই খালগুলি কাটা হবে। মূলত জোকা অঞ্চল এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কলকাতা পুরসভার আওতাভুক্ত হয়েছে। তবুও, সেখানকার নিকাশি ব্যবস্থা কার্যত নেই বললেই চলে। সর্বত্র খোলা নর্দমা। কোনও কোনও অঞ্চলে সেটাও নেই। পুরসভা কেইআইআইপি প্রকল্পের আওতায় সেখানে ভূগর্ভস্থ নিকাশি নালা তৈরি করবে। জোকা এলাকার এইসব অঞ্চলে জমা জলের সমস্যা মেটাতেই খাল কাটার সিদ্ধান্ত। নিকাশি বিভাগের মেয়র পারিষদ তারক সিং বলেন, মোট ১৩টি খাল কাটা হবে। মূলত চড়িয়াল খালের সঙ্গে সাতটি সংযোগকারী খাল কাটা হবে। পাশাপাশি, রানিয়া খালের সঙ্গে তিনটি এবং জুলপিয়া খালের সঙ্গে আরও তিনটি এমন সংযোগকারী নিকাশি খাল কাটা হবে। তার মধ্যে আপাতত চারটি খাল কাটার কাজ শুরু হচ্ছে। পুরকর্তারা জানাচ্ছেন, চড়িয়াল খালের সঙ্গে সংযুক্ত সোনামুখী ও বিঘা খালের সংস্কারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। এই দুটি খালকে পুরনো অবস্থায় ফেরানোই বেশি ঝঞ্ঝাটের কাজ। কারণ, সেই খালগুলি কোথাও দখলদারের কবলে, কোথাও মজে গিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় খাল দু’টি প্রায় নিশ্চিহ্ন বললেই চলে। দুটি খাল নতুন করে কেটে পুরনো অবস্থায় ফেরাতেই প্রায় ২৫ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। বেহাল দশায় খাল। -নিজস্ব চিত্র