নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: সরকারি রাস্তা যেন ‘নিজস্ব গ্যারাজ’! কেউ কেউ তো আবার রাস্তা ছেড়ে ফুটপাত দখল করেও গাড়ি রাখেন। সল্টলেকে এ দৃশ্য সকলেরই পরিচিত। এ প্রবণতা আটকাতে আগেও বহু সচেতনতামূলক কর্মসূচি নিয়েছিল পুলিস। কিন্তু বিশেষ ফল হয়নি। এবার সল্টলেকে রাস্তার ধারে বেআইনি পার্কিং নিয়ে বিশেষ অভিযান শুরু করল বিধাননগর কমিশনারেট। বৃহস্পতিবার ডেপুটি পুলিস কমিশনার (ট্রাফিক) নিমা নরবু ভুটিয়া এবং ডেপুটি পুলিস কমিশনার (বিধাননগর) অনীশ সরকারের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। গাড়ির মালিকদের ডেকে রাস্তা থেকে সরানো হয়েছে একাধিক গাড়ি। যাঁদের পাওয়া যায়নি, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বহু আবাসিকের একটি করে গ্যারাজ। কিন্তু তাঁদের গাড়ির সংখ্যা দুই বা তারও বেশি। কারও বাড়িতে গ্যারাজ আছে। কিন্তু সেখানে ফুলের বাগান বা অন্য কাজে ব্যবহার করছেন। আর গাড়ি রাখছেন সরকারি রাস্তায়। কারও আবার গ্যারাজই নেই। সরকারি রাস্তাই ভরসা। এছাড়াও স্থানীয়দের অভিযোগ, শুধু সল্টলেকের আবাসিকরা রাস্তায় গাড়ি রাখেন এমন নয়। কেষ্টপুরের বহু মানুষও সল্টলেকে গাড়ি পার্ক করেন। বেআইনি পার্কিংয়ের জেরে রাস্তা সংস্কার করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় পুরসভাকে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে বৈশাখীতে রাস্তা মেরামত করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছিল পুরসভা। এক ব্যক্তি রাস্তার ধারে গাড়ি পার্ক করে দুবাই চলে গিয়েছিলেন। ফলে বাধ্য হয়ে রাস্তার যে অংশজুড়ে গাড়িটি পার্ক করা ছিল সেই জায়গাটি বাদ রেখে মেরামত করতে হয়েছিল। পরে গাড়ির মালিক শহরে ফেরার পর গাড়ি রাস্তা থেকে সরান। তারপর ফের ওই অংশে পিচ দেওয়ার কাজ করতে হয় পুরসভাকে। পুলিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার চার নম্বর ট্যাঙ্ক থেকে সিএপি ক্যাম্প পর্যন্ত কোয়ালিটির স্টপেজের দু’পাশে অভিযান চালানো হয়। রাস্তায় বেআইনিভাবে পার্ক করা গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও মালিকের মোবাইল নম্বর বের করে পুলিস। তারপর ফোন করে মালিককে ডেকে গাড়ি সরানোর ব্যবস্থা করে। ভবিষ্যতে তাঁরা যাতে রাস্তায় গাড়ি না রাখেন, সে বিষয়ে সচেতনও করা হয়। যাঁদের ফোন করেও পাওয়া যায়নি তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, ‘অভিযান চলবে।-নিজস্ব চিত্র