সুপ্রকাশ চক্রবর্তী, হাওড়া
হাতে ক্যামেরা, মোবাইল ফোন নিয়ে জঞ্জালের পাহাড়ের সামনে একের পর এক এক ছবি তুলে যাচ্ছেন। কেউ আবার সেলফি তুলতে ব্যস্ত। অনেকে আবর্জনার স্তূপে দাঁড়িয়ে রিল বানাচ্ছেন। দেখে মনে হতেই পারে, এটা বুঝি শুশুনিয়া কিংবা অযোধ্যা পাহাড়। কিন্তু আসলে জায়গাটা বেলগাছিয়া ভাগাড়। তা এখন মানুষের আকর্ষণের জায়গা হয়ে উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে দূর–দূরান্ত থেকে আসা মানুষজন ভিড় করছেন এখানে। তাঁদেরকে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ।
একটা সময় এই ভাগাড়ের কথা শুনলেই অনেকের গা শিউরে উঠতো। ভুলেও সে পথে কেউ মা়ডাত না। ভাগাড়ের আশপাশে যাঁরা বসবাস করেন, কেউ তাঁদের খোঁজ খবর নিতে আসতো না। কিন্তু বেলগাছিয়া ভাগাড়ের ধস নামার পর নেতা–নেত্রী থেকে শুরু করে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি সবাই তাঁদের কাছে ছুটে আসছেন।
এলাকায় ভিড় জমাচ্ছেন তথাকথিত ভদ্র সমাজের কিছু লোকজন। সংবাদ মাধ্যমের লোকেরাও ঘন ঘন তাঁদের বাইট নিতে আসছেন। হঠাৎ নিজেদের গুরুত্ব বেড়ে যাওয়ায় তাঁরাও অবাক হচ্ছেন। ধসে ঘরবাড়ি হারালেও কয়েক দিন ধরে তাঁদের রুটিন বদলে গিয়েছে। কখনও স্থানীয় ক্লাব আবার কখনও প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এ দিন বেলগাছিয়া ভাগাড়ে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের খোঁজ খবর নেন বিশ্বেশ্বর ঘোষ। তিনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছি যে বেলগাছিয়া ভাগাড় জঞ্জাল জমতে জমতে পাহাড়ের আকার নিয়েছে। কিন্তু কখনও এখানে আসা হয়নি। যখন শুনলাম ধস নেমেছে ভাবলাম এক বার ঘুরে যাই। তাই একটু দেখতে এসেছিলাম।’ কলেজ পড়ুয়া স্নেহা শর্মা এসেছিলেন রিল বানাতে। তিনি জানালেন, বেলগাছিয়া ভাগাড়ের খবর এখন যেহেতু লাইম লাইটে ভাবলাম একটু গিয়ে রিল বানাই। তাই চলে এসেছি।’