• রেলের জমিতে অবৈধ নির্মাণ, তিরে পুরসভা!
    এই সময় | ২৮ মার্চ ২০২৫
  • এই সময়, আসানসোল: রেলের জমি দখল করে দোকান ও মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি করার অভিযোগ উঠেছে আসানসোল পুরসভার বিরুদ্ধে। তৃণমূল নেতা ও আইএনটিটিইউসি–র আসানসোল ব্লক সভাপতি রাজু অালুওয়ালিয়ার এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছেন রেল কর্তৃপক্ষ ও মহকুমা প্রশাসন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র বিধান উপাধ্যায়।

    রেলের জমিতে দোকান তৈরির বিষয়টি প্রথম নজরে আসে গত বছরের নভেম্বরে। হাটন রোড এলাকায় একটি দু’কামরার দোকানঘর লিজ় দেওয়া হয়। রাজুর অভিযোগ, রেলের জমিতে হয়েছে দোকানঘর এবং তা অবৈধ নির্মাণ। তিনি অভিযোগ জানান আসানসোলের মহকুমাশাসকের আদালতে।

    অভিযোগের ভিত্তিতে মহকুমাশাসকের আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মহকুমা ভূমি সংস্কার দপ্তরকে ওই জমির মালিকানা খুঁজে বের করে রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ দেন। চলতি বছরের ২০ মার্চ মহকুমা ভূমি সংস্কার দপ্তরের রেভিনিউ অফিসার সুদেব দেবনাথ লিখিত ভাবে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জানান, ওই জমিটি–সহ ১১১০৫ দাগ নম্বরে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের জমির মালিকানা পূর্ব রেলের নামে রয়েছে। ভূমি সংস্কার দপ্তরের রিপোর্টে জানা যায়, আসানসোল বাজারের জিটি রোডের পাশে পুরসভার নির্মীয়মাণ মার্কেট কমপ্লেক্সটিও রেলের জমি দখল করে তৈরি করা হচ্ছে।

    আদালতের সেই নথি দিয়েছেন রাজু। তাঁর বক্তব্য, ‘যে জমি রাজ্য সরকার বা পুরসভার নয়, সেখানে অবৈধ ভাবে দোকান ও মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি করে সাধারণ মানুষকে লিজ় দেওয়া বেআইনি। ভবিষ্যতে রেলের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হলে লিজ় হোল্ডাররা বিপদে পড়বেন। সরকারি অর্থের নয়ছয় হবে।’

    বিষয়টি জানার পরেই রেলের তরফে তদন্ত শুরু হয়েছে। রেলের জনসংযোগ আধিকারিক বিপ্লব বাউড়ি বলেন, রেলের বাণিজ্য বিভাগে অভিযোগ এসেছে। তদন্তও শুরু হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা থাকলে রেলের জমি পুনরুদ্ধার করা হবে।’

    কী ভাবে এই কাজ হলো? মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলছেন, এই নির্মাণের কাজগুলি বর্তমান পুরবোর্ডের অনেক আগে থেকেই করা হচ্ছে। তবে যে জমিতে এই নির্মাণ কাজ চলছে, তা রাজ্য সরকারের জমি বলেই এত দিন জানা ছিল। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’

  • Link to this news (এই সময়)