হাওড়ার বেলগাছিয়ায় কিছু অংশে ফের জল সরবরাহ বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা। উত্তর হাওড়ার বিধায়ক গৌতম চৌধুরী জানিয়েছেন, সকালে ও দুপুরে জল দেওয়া হলেও সন্ধ্যায় যে জল সরবরাহ হয় তা আগামী কয়েকদিন পাবেন না বাসিন্দারা। অন্যদিকে, ভাগাড়ের বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গিয়ে থাকার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। তবে বাস্তুহারা হওয়ার ভয়ে অনেকেই অন্যত্র যেতে চাইছেন না বলে খবর। শুক্রবার ফের জেলা প্রশাসনের একটি টিম স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনা করতে যাবেন বলে জানা গিয়েছে।
ভাগাড়ে ধসের কারণে বেলগাছিয়ার বিস্তীর্ণ অংশে রাস্তায় ফাটল দেখা দিয়েছিল। পাইপ লাইন নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে পানীয় জলের সঙ্কট তৈরি হয় বিস্তীর্ণ অংশে। উত্তর হাওড়ার বিধায়ক জানান, ভাগাড়ে ধসের কারণে এখানে ড্রেনেজ সিস্টেম সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। পানীয় জল সরবরাহের সময় সেই জল জমে যাচ্ছে। নর্দমার জলের সঙ্গে মিশে দুর্গন্ধময় কালো জল জমে যাচ্ছে রাস্তায়। নতুন করে ড্রেন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। শেষ না হওয়া পর্যন্ত সন্ধ্যায় জল বন্ধ রাখা হচ্ছে।
অন্যদিকে, বেলগাছিয়ার বিস্তীর্ণ অংশে মাটির ধারণ ক্ষমতা পরীক্ষা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে স্থানীয় বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। বারবার বোঝানো হলেও অনেক বাসিন্দা অন্যত্র যেতে চাইছেন না। এ দিন ফের প্রতিনিধি দল পাঠানো হচ্ছে বলে জানান জেলাশাসক পি দীপাপ প্রিয়া। জেলাশাসকের দাবি, বাসিন্দারা অন্যত্র না সরলে ‘সয়েল টেস্ট’ করা যাবে না। ওই এলাকা কতটা বিপজ্জনক সেটা পরীক্ষা করা যাবে না।
প্রশাসনের তরফে স্থানীয় কয়েকটি স্কুল বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য বাপি মান্না জানান, যে সব বাসিন্দার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাঁদের বাড়ি বানিয়ে দেওয়া হবে। আপাতত বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে মাটি পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।