এই সময়, শিলিগুড়ি: বেঙ্গল সাফারিতে এ বার জলহস্তী, সাংহাই হরিণ আসছে। বৃহস্পতিবার বেঙ্গল সাফারিতে এসে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা। গত কয়েকদিন ধরেই বনমন্ত্রী উত্তরবঙ্গের নানা প্রান্তে বনাঞ্চল পরিদর্শন করছেন। সংরক্ষিত বনাঞ্চলের হাল খতিয়ে দেখতে তিনি সান্দাক ফু লাগোয়া সিঙ্গালিলা অভয়ারণ্যেও যান।
এ দিন বেঙ্গল সাফারি পরিদর্শনের পরে বনমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে জলহস্তী এবং সাংহাই হরিণের জন্য এনক্লোজার তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একটি পাখিরালয়ও তৈরি করা হবে।’
বেঙ্গল সাফারিতে পাখিরালয় রয়েছে। তবে সেটা বিদেশি পাখির এনক্লোজ়ার। সাদা ময়ূরের জন্যও পৃথক একটি এনক্লোজার রয়েছে। নয়া এনক্লোজ়ারটি তৈরি করা হবে মূলত মিশ্র জাতের পাখি রাখার জন্য। ২০১৬ সালে চালু করার পরে রাজ্য সরকার একের পর এক অতিথি প্রাণী আনছে বেঙ্গল সাফারিতে। হরিণ দিয়ে শুরু করে গন্ডার, রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, চিতাবাঘ, ভালুকের পরে ত্রিপুরা থেকে সিংহও আনা হয়েছে। এ বার জলহস্তী আনার প্রক্রিয়া শুরু হলো।
বেঙ্গল সাফারি নিয়ে বন দপ্তরের এই উৎসাহের কারণ, পর্যটকেরাও প্রতি বছর ভিড় করছেন এখানে। প্রতি বছর পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে। এ বছর পর্যটকের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২ লক্ষ ৮৩ হাজারের কাছাকাছি। তুলনামূলক ভাবে বাড়ছে আয়ও। গত বছর সাত কোটির কাছাকাছি আয় করে বেঙ্গল সাফারি।
এ বার সেখানে আয় বেড়ে হয়েছে প্রায় ৯ কোটি টাকা। পর্যটকদের অনেকেরই কৌতূহল সিংহ নিয়ে। তবে বন দপ্তর এখনও সিংহ সাফারি শুরু করেনি। বনমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে যতক্ষণ না কোনও পশু মানুষের সামনে আসতে স্বচ্ছন্দ বোধ করছে, ততক্ষণ সেটিকে সামনে আনা হয় না। সময়ে হলেই সামনে আনা হবে।’
জানা গিয়েছে, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আলিপুর চিড়িয়াখানা থেকে খুব শীঘ্রই নিয়ে আসা হবে জলহস্তী।
সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে রাস্তা সম্প্রসারণকে কেন্দ্র করে গাছ কাটা পড়ছে। তা নিয়ে পরিবেশপ্রেমীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। বনমন্ত্রীর যুক্তি, ‘বন দপ্তরের জমিতে থাকা গাছ কাটা হলে আইন মেনে পদক্ষেপ করা হবে। অন্যত্র সেটা হলে আমরা দেখেশুনে অনুমতি দিই। তবে একটি গাছ কাটা হলে যেন দু'টি গাছ লাগানো হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হয়।’ বন দপ্তরের এই নীতির ফলেই রাজ্যে বনা়ঞ্চলের আয়তনও বাড়ছে বলে দাবি করেছেন তিনি।