দিন কাটত ফুটপাথে, পুলিশকর্মীর উদ্যোগে নয়া ‘পরিবার’ পেলেন বৃদ্ধ...
আজকাল | ২৯ মার্চ ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: পরিবার থেকেও নেই। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে কখনও দোকানে, কখনও মন্দিরে রাত কাটাতেন চুঁচুড়ার বাসিন্দা বছর ষাটেকের বিমল বিশ্বাস। নিজের উদ্যোগে বৃদ্ধকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার ব্যবস্থা করে দিলেন পুলিশকর্মী সুকুমার উপাধ্যায়। মন্দির থেকে নিয়ে গিয়ে ওই বৃদ্ধকে নবজীবনে থাকার ব্যবস্থা করে দেন তিনি। শহরের গৃহহীন মানুষদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য চুঁচুড়া পুরসভার উদ্যোগে কয়েকদিন আগেই চালু হয়েছিল নবজীবন। জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে চুঁচুড়া চকবাজারে একটি ফার্ণিচারের দোকানের সামনে আশ্রয় নিয়েছিলেন বিমল বিশ্বাস নামে ওই বৃদ্ধ।
এক সময় গাড়ি চালাতেন তিনি, থাকতেন হেমন্ত বসু কলোনীর ভাড়া বাড়িতে। বয়সের কারণে এখন আর কাজ নেই, দিতে পারেননি বাড়িভাড়াও। সে কারণে সম্প্রতি তাঁকে ঘরছাড়া হতে হয়। পথে পথে ঘুরে খাবার জোগাড় করে চকবাজারে একটি ফার্ণিচারের দোকানে আশ্রয় চান তিনি। দোকান মালিক লক্ষীনারায়ণ ঘোষ জানান, ‘মাস দুয়েক আগে বিমল বাবু এসে আমাকে বলেন দোকানে থাকার ব্যবস্থা করে দিতে। আমি আমার দোকানের সামনে বারান্দায় তাঁকে কম্বল দিয়ে তাকে থাকার ব্যবস্থা করি। কয়েকদিন আগে হঠাৎই এক যুবক ওই বৃদ্ধকে বেধড়ক মারধর করে। তারপর থেকে এই কালীমন্দিরই বৃদ্ধের আশ্রয় ছিল’।
সেই চকবাজার কালী মন্দিরেই বৃদ্ধকে শুয়ে থাকতে দেখেন পুলিশকর্মী সুকুমার। এরপর চুঁচুড়া পুরসভায় গিয়ে দেখা করে কথা বলেন। একজন গৃহহীন বৃদ্ধকে কিভাবে নবজীবনে আশ্রয় দেওয়া যায় সে বিষয়ে উদ্যোগ নেন। পুরসভার নির্দেশে আশ্রয় মেলে বৃদ্ধের। ব্যাগপত্র গুছিয়ে ওই পুলিশকর্মী বৃদ্ধকে তাঁর বাইকে চাপিয়ে চুঁচুড়া হাসপাতালের কাছে প্রতাপপুরে নবজীবনে নিয়ে যান। ওই পুলিশকর্মী জানান, ‘নিজের যেটুকু ক্ষমতা সেটুকু দিয়েই মানুষের পাশে দাঁড়ালে কিছু মানুষের উপকার হয়। সবারই কিছু কিছু চেষ্টা থাকে। সেটা তখন অনেক মানুষের কাজে লাগে’।