কর্তব্যে গাফিলতি-সহ একাধিক অভিযোগে সাসপেন্ড বর্ধমান রাজ কলেজের প্রিন্সিপাল নিরঞ্জন মণ্ডল। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সামনে রেখে শুক্রবার পরিচালন সমিতির বৈঠকে আলোচনা হয়। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি স্বপনকুমার পান। কর্তব্যে গাফিলতি, তহবিলের অব্যবস্থার অভিযোগে রাজ কলেজের প্রিন্সিপাল নিরঞ্জন মণ্ডলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
কলেজ সূত্রে খবর, মাস তিনেক আগেই নিরঞ্জন মণ্ডলকে শোকজ করে কলেজ পরিচালন সমিতি। তাঁর কাছ থেকে জবাব পাওয়ার পর শুক্রবার ২৮ মার্চ কলেজের পরিচালন সমিতির বৈঠক বসে। প্রিন্সিপালের দেওয়া জবাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় সেখানে। কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি স্বপনকুমার পান জানান, প্রিন্সিপালের উত্তর যথাযথ নয় বলে বিবেচিত হওয়ায় পরিচালন সমিতির সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে প্রিন্সিপালকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
যদিও নিরঞ্জন মণ্ডল তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানান, কলেজে কর্মীর অপ্রতুলতা, অ্যাকাউন্টের কাজ করার মতো সুনির্দিষ্ট কর্মী না থাকা এবং অসহযোগিতার জন্যই সংশ্লিষ্ট সমস্যাগুলো তৈরি হয়। একই সঙ্গে তিনি জানান, এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হবেন। এমনকী, তিনি আর্থিক অব্যবস্থারও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।
নিরঞ্জন মণ্ডল বলেন, ‘আমার কলেজে মাত্র ৯ জন স্টাফ নিয়ে কাজ করতে হয়। অস্থায়ী যাঁরা, কাজ জানেনও না, কাজ করেনও না। এই অবস্থায় সকল শিক্ষকের সাহায্য নিয়ে কাজ করতে হয়েছে। স্টাফ না থাকায়, খুব কাজের চাপ। বুঝলামই না কর্তব্যে গাফিলতি কী করে হয়? কিছু তো বাকি নেই কাজ। তহবিলের অব্যবস্থার কথা বলছেন। সেটা তো প্রিন্সিপাল সরাসরি দেখেন না। ক্যাশিয়ার, হিসাবরক্ষক, হেড ক্লার্ক থাকার কথা। তাঁরা নেই। কোনও মতে কলেজ চালাচ্ছি।’ কলেজ পরিচালন সমিতির তরফে সাময়িক ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, নিরঞ্জন মণ্ডলের দায়িত্ব সামলাবেন কলেজেরই রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিজয় চাঁদ।