• ফাঁসিদেওয়ায় বিএসএফ জওয়ানের উপর হামলায় সীমান্তে বাড়ল নজরদারি
    বর্তমান | ২৯ মার্চ ২০২৫
  • সংবাদদাতা, নকশালবাড়ি: বিএসএফ জওয়ানের উপর হামলার ঘটনায় পুলিসের র‌্যাডারে আরও তিনজন। ফাঁসিদেওয়ার সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ফাঁসিদেওয়ার মুড়িখাওয়ায় এক গোরু পাচারকারীর হামলায় জখম হন বিএসএফ জওয়ান। তবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একজনকে ধরে ফেলেন জখম জওয়ান। ওই ঘটনায় ধৃত মহম্মদ মুজাফ্‌ফর হুসেনের হেফাজত থেকে দেশি পিস্তল সহ তাজা কার্তুজ উদ্ধার করেছে বিএসএফ। পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে চারটি গোরু। পরে ধৃতকে ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিসের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ। শুক্রবার ধৃতকে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছে ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিস। 

    এনিয়ে পুলিসের তদন্তকারী এক অফিসার বলেন, ওই রাতে জনা চারেক পাচারকারীর একটি দল গোরু পাচার করার চেষ্টা করছিল। তা দেখে এক জওয়ান তাদের পিছু নেয়। জওয়ানকে একা পেয়ে ঝোপের আড়াল থেকে ধৃত গুলি চালায়। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় ওই জওয়ান প্রাণে বাঁচেন। তবে ধৃতের হামলায় ওই জওয়ান মাথায় চোট পান। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত ফাঁসিদেওয়ার চটহাটের তিনজনের নামে বলেছে। তাদের শীঘ্রই গ্রেপ্তার করা হবে। ধৃতের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন, সরকারি কাজে বাধা, সরকারি কর্মীর উপর হামলা, খুনের চেষ্টার মতো একাধিক অপরাধজনিত মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। 

    ফাঁসিদেওয়া ব্লকের লিওসিপাখরি থেকে মুড়িখাওয়া পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিমি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে। মহানন্দা নদী দুই দেশের মধ্যে রয়েছে। এতে কিছু অংশে কাঁটাতারের বেড়া নেই। বন্দরগছ, চটহাট, মুড়িখাওয়ার বেশকিছু অংশ তাই উন্মুক্ত। সেই সুযোগ নিয়ে চলে গোরু, মোষ সহ নেশাজাতীয় দ্রব্যের পাচার। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে মুড়িখাওয়া ও ২০২৩ সালে ক্ষুদিগছে বিএসএফের ছোড়া গুলিতে দুই পাচারকারীর মৃত্যু হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)