সংবাদদাতা, পুরাতন মালদহ: শুক্রবার সকালে ঘড়ির কাটায় ৯টা ৪৭ মিনিট। পুরাতন মালদহ ব্লকের মৌলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে বহির্বিভাগের সামনে রোগীদের ভিড়। অসুস্থ শরীরে চিকিত্সকের অপেক্ষা। কারণ, বেলা গড়াতে চললেও বহির্বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তাররা আসেননি তখনও। ঘরে তাঁদের চেয়ার কার্যত ফাঁকা। জ্বলছে লাইট। এ দৃশ্য দেখে রোগীরা ক্ষোভ উগরে দেন। এই হাসপাতালে বহির্বিভাগে চিকিত্সকদের দেরিতে বসা নিয়ে ২৫মার্চ বর্তমান পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল সূত্রে খবর, এরপর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়দেব মজুমদার বহির্বিভাগে চিকিৎসকদের সঠিক সময় নিয়ম করে বসার জন্য সতর্ক করে দেন। কিন্তু অভিযোগ, তারপরও বহির্বিভাগে চিকিৎসকরা সময় অনুয়ায়ী বসছেন না।
এদিন বহির্বিভাগে চিকিৎসার জন্য আসেন রবি দত্ত। তিনি বলেন, আমার সুগার রয়েছে। শরীর অসুস্থ বোধ করছে। বহির্বিভাগের বাইরে ৩০মিনিট ধরে বসে রয়েছি। কোনও চিকিৎসক আসেননি। এগুলি দেখার কেউ নেই। কেউ তদন্ত করছে না। সেনাউল হক নামে আরও এক রোগী বলেন, আমার গলায় ব্যথা। সেজন্য হাসপাতালে এসেছিলাম। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে চিকিৎসক বসেননি। এগুলি ঠিক না।
পরিষেবার দিক থেকে মৌলপুর গ্রামীণ হাসপাতাল খুব গুরুত্বপূর্ণ। শহরের ২০টি ওয়ার্ড এবং ৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষ সেখানে চিকিৎসার জন্য আসেন। ওই হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসকদের বসার নিয়ম সকাল ৯টা দুপুর ২টা পর্যন্ত। সেটি সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের সাইনবোর্ডে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। তবুও নিয়ম মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ।
২৫ মার্চ সোমবার ৯ বেজে ৪৩ মিনিটে বহির্বিভাগে চিকিৎসকদের দেখা যায়নি। শুক্রবারও একই অবস্থা দেখা যায়। এদিন বহির্বিভাগের দেরিতে বসা নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা সংবাদমাধ্যমে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। সেখানে পরে আসা এক চিকিৎসক জানান, বিষয়টি নিয়ে যা বলার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক বলবেন। পুরাতন মালদহের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়দেব মজুমদার বলেন, ওই দিন বহির্বিভাগে চিকিৎসকদের দেরিতে আসার বিষয়টি জানার পর ওদের ডেকে ওয়ার্নিং দিয়েছিলাম। এর আগেও মিটিং করেছিলাম। কিন্তু লাভ হচ্ছে না। এবার চিঠি করা হবে।