নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: সামান্য চাটনির জন্য মিষ্টির দোকানের কর্মচারীকে সপাটে চড়! অভিযোগের তির শাসকদলের কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে। ঘটনায় কাউন্সিলার শেখ নাজিরউদ্দিনের কঠোর শাস্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার রাতে দুবরাজপুরে থানা মোড় সংলগ্ন রানিগঞ্জ-মোড়গ্রাম ১৪নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। পরিস্থিতি সামাল দিতে দুবরাজপুর থানার পুলিসকে বেগ পেতে হয়। অবশেষে পুলিসি হস্তক্ষেপে ওই কাউন্সিলার এই ঘটনায় লজ্জা প্রকাশ করে ক্ষমা চান। রাতেই পুলিস ওই কাউন্সিলারকে আটক করে। পরে রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ অবরোধ উঠে যায়। গোটা ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছে। বিজেপি নেতৃত্ব কড়া ভাষায় ঘটনার নিন্দা করেছে। দোকান মালিক কেশব দাস বলেন, ওই কাউন্সিলার সকলের উপস্থিতিতে ক্ষমা চেয়েছেন। অন্যদিকে, ওই কাউন্সিলার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছেন।
ঘটনার সূত্রপাত শিঙাড়া চাটনিকে কেন্দ্র করে। জানা গিয়েছে, ওইদিন সন্ধ্যায় দুবরাজপুর পুরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার শেখ নাজিরউদ্দিন ১৬নম্বর ওয়ার্ডে একটি মিষ্টির দোকান থেকে তিনটি শিঙাড়া কেনেন। তার জন্য তিনি দু’বার চাটনি চান। দোকানের কর্মচারী জিতেন্দ্রনাথ সাহা দ্বিতীয়বার চাটনি দিতে রাজি হননি। অভিযোগ, এরপরই ওই কাউন্সিলার তাঁকে সপাটে চড় মারেন। ঘটনায় ওই কর্মী মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগও ওঠে। ঘটনায় দোকান মালিক সহ অন্যান্যরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এরপরই কাউন্সিলারের শাস্তির দাবি জানিয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু হয়। এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে অবরোধ চলে। ঘটনার জেরে পুলিস রাতেই ওই কাউন্সিলারকে আটক করে। যদিও রাতেই কাউন্সিলার জামিন পান।
গোটা ঘটনায় খোদ কাউন্সিলার লজ্জা প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি বলেন, এই ঘটনা অনভিপ্রেত ছিল। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, এধরনের ঘটনা দলকে বিড়ম্বনায় ফেলে। দলের তরফে তাঁকে তিরস্কার করা হয়েছে। আশা করছি, ভবিষ্যতে এধরনের ঘটনা ঘটবে না। দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা গোটা ঘটনার নিন্দা করে বলেন, রাজ্যে আইনের শাসন নেই। যেকোনও বিষয়ে মুখে কথা হতেই পারে।