• ব্যাঙ্কের চাকরির টোপ, লক্ষাধিক টাকা খোয়ালেন পুরুলিয়ার যুবক
    বর্তমান | ২৯ মার্চ ২০২৫
  • সংবাদদাতা, পুরুলিয়া: ব্যাঙ্কের চাকরির প্রলোভনে পড়ে প্রায় লক্ষাধিক টাকা খোয়ালেন বছর কুড়ির যুবক। নিজের পাশাপাশি আত্মীয়ের অ্যাকাউন্টের টাকাও প্রতারকদের পাঠান ওই যুবক। পরে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনি পুরুলিয়া মফস্সল থানাতে লিখিত অভিযোগ করেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।

    পুরুলিয়া মফস্‌সল থানার নদীয়াড়া গ্রামের বাসিন্দা রবিশঙ্কর রাজোয়াড়। থানায় লিখিত অভিযোগ করে তিনি জানান, একটি ব্যাঙ্কে চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁর কাছে ফোন আসে। নির্দিষ্ট কিছু ফর্ম পূরণ করলেই ওই ব্যাঙ্কে চাকরি পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়। পরে বিভিন্নভাবে টাকা চাওয়া শুরু হয়। বাড়ির কাউকে না জানিয়েই দু’টি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় এক লক্ষ টাকা পাঠিয়ে দেন ওই যুবক। পরে তিনি জেঠুর মোবা‌ইল থেকে অনলাইনের মাধ্যমে আরও প্রায় ৮ হাজার টাকা প্রতারকদের পাঠান। বিষয়টি বাড়িতে বলার পরই প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারেন রবিশঙ্করবাবু। তারপরই থানাতে লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। রবিশঙ্করবাবু বলেন, আগে বেঙ্গালুরুতে কাজ করতাম। কিছুদিন আগে বাড়ি ফিরেছি। কয়েকদিন আগে অজানা নম্বর থেকে ফোন আসে। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে কেওয়াইসি বিভাগে কাজ দেবে বলে আমাকে জানানো হয়। বায়োডাটা চাইলে তা পাঠিয়ে দিই। প্রথমে আবেদনের জন্য ২৫০টাকা চায়। সেই টাকা পাঠাই। তারপর চাকরি কনফার্ম করার জন্য টাকা চায়। তা দেওয়ার পর প্রায় ২৪ হাজার টাকার বেতনের চাকরির কনফার্মেশন কাগজও পিডিএফ আকারে আমাকে পাঠায়। কিন্তু পরে ফের ফোন করে। ওই চাকরি স্থায়ী করার জন্য দু’মাসের বেতনের টাকা ডিপোজিট রাখতে বলে। সেইমতো আবার টাকা পাঠাই। এরপর ভেরিফিকেশন ও এনওসির জন্য আরও প্রায় ৭০ হাজার টাকা চায়। তা দিতে অস্বীকার করায় ফোনে আমাকে জানায়, আবেদন বাতিল হয়েছে। চাকরি আর হবে না। পরের দিন ফের ফোন আসে। নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিলেই আগের পাঠানো টাকা ফেরত দিয়ে দেবে বলে জানায়। সেই কথাতেও বিশ্বাস করে ফের টাকা পাঠাই। একসঙ্গে ১০ হাজার টাকা পাঠানোর পর ওরা বলে একসঙ্গে পাঠালে হবে না। ওই টাকা অল্প পরিমাণে ধাপে ধাপে পাঠাতে হবে। ওদের কথামতো ফের টাকা পাঠাই। পরের দিন অজানা অন্য একটি নম্বর থেকে ফোন আসে। তার কথামতো আগের টাকাগুলি ফেরত পেতে আবার টাকা পাঠাই। কিন্তু ওই টাকা আর ফেরত আসেনি। টাকা ফেরত পেতে পরে যে টাকা পাঠাই, তাও পাইনি। তারপরই পুরুলিয়া সাইবার ক্রা‌ইম থানার সঙ্গে যোগাযোগ করি। পরে পুরুলিয়া মফস্‌সল থানায় এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছি। পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
  • Link to this news (বর্তমান)