মার্চের শুরু থেকেই বেড়েছে বাঁকুড়ার তাপমাত্রা। এ বার সেই জেলায় চড়ল রাজনৈতিক পারদও। ব্যক্তিগত কাজে বাঁকুড়া জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দপ্তরে গিয়েছিলেন শিক্ষক ও বিজেপি বিধায়ক সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেন, ‘কোনও পাখা না থাকা গুমোট জায়গায় তাঁকে ৪০ মিনিট বসিয়ে রাখা হয়েছিল।’ এই নিয়ে তিনি রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পাল্টা জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক দপ্তরের কর্মীদের দাবি, দুর্ব্যবহার করেছেন এই বিজেপি বিধায়ক। তাঁর মধ্যে রাজনীতিকসুলভ বায়নাক্কাও দেখা গিয়েছিল বলে দাবি তাঁদের।
শালতোড়ার একটি স্কুলের শিক্ষক এবং বিজেপি বিধায়ক সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায় শুক্রবার মেয়ের বিয়ের জন্য অ-ফেরতযোগ্য পিএফ লোন-এর আবেদন করতে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ, সেই অফিসে তাঁকে ফ্যান বিহীন একটি জায়গায় প্রায় ৪০ মিনিট বসিয়ে রাখা হয়। একই সঙ্গে তাঁকে ক্ষুব্ধ গলায় বলতে শোনা যায়, ‘অপদার্থ ডিআই। কত বড় ডিআই দেখব। ৪০ মিনিট বসিয়ে রেখেছেন। সিভিক ডিআই কিনা আমার সন্দেহ হচ্ছে।’
পাল্টা জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের কার্যালয়ের কর্মীরা দাবি করেন, বিধায়ক তাঁদের হুমকি দিচ্ছেন এবং তাঁদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করছেন। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের এক কর্মী বলেন, ‘একজন শিক্ষক এবং জনপ্রতিনিধির কাছে এই ধরণের আচরণ কাম্য নয়। আমরা অত্যন্ত আতঙ্কিত। গোটা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনার আবেদন করব।’ যদিও বাঁকুড়া জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শক পীযূষকান্তি বেরা এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
এ দিকে সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায়ের এই অভিযোগ প্রসঙ্গে পাল্টা পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির বাঁকুড়া জেলা সভাপতি গোরাচাঁদ কান্ত বলেন, ‘ছাতনার বিজেপি বিধায়ক সরকারি অফিসে দাদাগিরি করছেন। কাজে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছেন। আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হোক।’