হাইড্রেনে উপুড় হয়ে পড়ে রয়েছে ছোট্ট গোল মাথা, পিঠে ঘষা দাগ, চাপ চাপ রক্ত। ভনভন করছে মাছি। শনিবার সকালে বাঁকুড়ার সতীঘাট এলাকার এক নিকাশি নালা থেকে একটি মানব ভ্রূণ উদ্ধার করল পুলিশ। শহরের অন্যতম ব্যস্ত এলাকা এই সতীঘাট। সেখানে এ ভাবে মানব ভ্রূণ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সেটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ভ্রূণটির বয়স ৭-৮ মাস হতে পারে বলে অনুমান এলাকার লোকজনের।
এর আগে সোনামুখী, বিষ্ণুপুরেও ভ্রূণ উদ্ধার হয়েছিল। এ বার বাঁকুড়া শহরে। এলাকার লোকজনের অনুমান, ভ্রূণটি অন্য কোথাও থেকে জলের তোড়ে ভেসে এসেছে। কারণ, এই হাইড্রেন গন্ধেশ্বরী নদী অবধি গিয়েছে।
এ দিন সকালে হঠাৎই এলাকার এক দোকানদার ওই হাইড্রেনে একটি ভ্রূণ পড়ে থাকতে দেখেন। তাতেই খবর ছড়ায়। হইচই শুরু হয় এলাকায়। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় থানায়।
স্থানীয় বাসিন্দা রীতা দত্তের কথায়, ‘সাত সকালে এ ভাবে এক শিশুকে নালায় পড়ে থাকতে দেখে আমরাও হতবাক। হতে পারে কোনও কুমারী মা হয়তো ফেলে দিয়েছেন। আবার অন্য কোনও কারণও থাকতে পারে।’
প্রসঙ্গত, গত বছর নভেম্বরে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে নর্দমায় মধ্যে প্লাস্টিক মোড়ানো অবস্থায় একটি ভ্রূণ উদ্ধার হয়েছিল। তার আগে গত বছরই সেপ্টেম্বরে বাঁকুড়ার সোনামুখী পুরসভার সামনে নর্দমা থেকে জোড়া ভ্রূণ উদ্ধার হয়েছিল। সে সময় অবৈধ গর্ভপাতের একটা অভিযোগও সামনে আসে। অবৈধ কোনও ক্লিনিক এলাকায় সক্রিয় কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। শনিবারের ঘটনায়ও এমন কোনও যোগ রয়েছে কি না, সে বিষয় খতিয়ে দেখছে পুলিশ।