মাস দু’য়েক আগেই এজেসি বোস রোড ও বেলভেডিয়ার রোডের সংযোগস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছিল ১২৩ কেজি গাঁজা। গাঁজা পাচারে জড়িত সন্দেহে দু’জনকে গ্রেপ্তারও করেছিলেন কলকাতা পুলিশের নারকোটিক সেলের গোয়েন্দারা। শনিবার ফের সাফল্য কলকাতা পুলিশের। উদ্ধার হলো ৬৫.৪৩ কেজি গাঁজা। এ বার পাচারের চেষ্টার অভিযোগে চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম অরুণ বিশ্বাস (৩৪), সুজয় বৈরাগ্য (৪১), সুবোধ সরকার (৪১), তপন কুমার বিশ্বাস।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার সকালে অভিযান চালায় কলকাতা পুলিশের নারকোটিক সেলের গোয়েন্দাদের একটি টিম। ময়দান থানার অন্তর্গত ধর্মতলা বাস স্ট্যান্ড থেকে চার সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়। ওডিশা থেকে বাসে সকালেই কলকাতায় এসে নামেন ওই চার জন। প্রত্যেকের কাছেই একাধিক ব্যাগ ছিল। ব্যাগগুলিতে তল্লাশি চালাতেই বেরিয়ে আসে প্যাকেট প্যাকেট গাঁজা। এর পরেই চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। কলকাতায় কোথায় এই গাঁজা পাচার করা হচ্ছিল, চার জনের সঙ্গে বড় কোনও চক্রের যোগ রয়েছে কি না তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায়ই পুলিশের হাতে ধরা পড়ছে গাঁজা পাচারকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, জেলায় জেলায় লাগাতার অভিযান শুরু হতেই গত দু’মাসে শহর কলকাতাকে ‘করিডোর’ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ওডিশা থেকে পাচার হচ্ছে গাঁজা। পুলিশের একটি পরিসংখ্যান বলছে, শেষ এক বছরে কয়েক হাজার কেজি গাঁজা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বেশিরভাগই নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলায়।
কেন বারবার ওডিশা থেকেই গাঁজা পাচার? জানা গিয়েছে, ওডিশার কন্ধামাল জেলায় গত কয়েক বছরে গাঁজার চাষ অনেকটাই বেড়েছে। গ্রামীণ এলাকার লোকজন বেশি উপার্জনের আশায় গাঁজা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। একরের পর একর এলাকা জুড়ে গাঁজা চাষ হচ্ছে। সেখান থেকেই গাঁজা প্যাকিং করে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তিসগড়, বিহার-সহ একাধিক রাজ্যে।
তথ্য সহায়তা: শ্যামগোপাল রায়