• দিনভর উত্তেজনার পর কাঁথির কৃষি সমবায় নির্বাচনে জয়ী তৃণমূল, খাতা খুলতেই পারল না বিজেপি
    এই সময় | ৩০ মার্চ ২০২৫
  • এ যেন বিধানসভা নির্বাচনকেও হার মানাবে। শনিবার কাঁথি কৃষি সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দিনভর উত্তপ্ত ছিল এলাকা। কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান সুপ্রকাশ গিরির ‘হুঁশিয়ারি’ ও পুলিশের হাতে প্রাক্তন মন্ত্রী অখিল গিরির আক্রান্ত হওয়াকে কেন্দ্র করে সরগরম ছিল এলাকা। শেষমেষ শনিবার বিকেলে এই সমবায়ের ৭৮ টি আসনের ফল ঘোষণা হয়। প্রতিটি আসনেই জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। খাতা খুলতে পারেনি বিজেপি।

    শনিবার সকাল থেকেই কৃষি সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচনে জিততে মরিয়া হয়ে ওঠে তৃণমূল ও বিজেপি উভয় রাজনৈতিক দলই। কোথাও ভোটারদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ, আবার কোথাও স্লিপ কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ ছিল। বিশাল পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে নির্বাচন সংগঠিত হয়। ৭৮টি আসনের ৬৫টি আসনে নির্বাচন হয় শনিবার। বাকি আসন গুলিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই জয় বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে বলেই মত স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের। 

    এ দিন সকালে কাঁথি জাতীয় বিদ্যালয়ের সামনে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে উত্তেজনা লক্ষ্য করা যায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছন কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান সুপ্রকাশ গিরি। উত্তেজনার মধ্যে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন তিনি। প্রকাশ্যে বিজেপি কর্মীদের ‘মুখ ফাটিয়ে রেখে দেব’ বলে হুমকি দিতে শোনা যায় সুপ্রকাশকে। কোনওক্রমে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

    কয়েক ঘণ্টা পরেই রামনগরের ভোটগ্রহণ কেন্দ্র অর্থাৎ রামনগর কলেজে অশান্তির খবর পেয়ে ছুটে যান স্থানীয় বিধায়ক ও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী অখিল গিরি। সেখানে পুলিশের হাতে নিজেকে আক্রান্ত হতে হয়েছে বলে দাবি করেন অখিল। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে প্রবেশ করতেই সেখানে উত্তেজিত হয়ে পড়েন অখিল। পুলিশ তাঁকে ধরে বের করে দেয় ওই এলাকা থেকে। ঘটনায় ডান হাতের কনুইয়ে আঘাত পান অখিল বলে দাবি। স্থানীয় ডিএসপি (ডিএনটি) আবু নুর হোসেনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।

  • Link to this news (এই সময়)