• ট্রেনের কামরার উপরে কামরা, সঙ্গে আগুন, কী ঘটনা আসানসোলে?
    এই সময় | ৩০ মার্চ ২০২৫
  • লাইনচ্যুত হয়ে ট্রেনের কামরার উপরে চেপে গিয়েছে আর একটি কামরা। সেই সঙ্গে আগুন লেগে গিয়েছে কামরায়। দাউ দাউ করে জ্বলছে সেই আগুন। ছোটাছুটি করছেন নিরাপত্তা কর্মীরা। তারা চাইছেন দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে। শনিবার সকালে এই রকম দৃশ্য দেখে ঘাবড়ে গিয়েছিলেন আসানসোলের বাসিন্দারা। পরে তারা বুঝতে পারেন, আসলে কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। ট্রেন দুর্ঘটনা হলে বা কামরায় আগুন লাগলে কী করণীয় তা শেখাতেই নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে মক ড্রিল করা হচ্ছিল সেখানে।

    জানা গিয়েছে, পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের আসানসোল ইয়ার্ডের স্যাটেলাইট সাইডিংয়ে এই মক ড্রিল করা হয়। আসানসোল ডিভিশনের রেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, রেল বোর্ডের নির্দেশ অনুসারে কটি পূর্ণাঙ্গ মক ড্রিল বা মহড়ার আয়োজন করা হয় ।

    আসলে, শনিবার সকালে আসানসোলের স্যাটেলাইট ইয়ার্ডের কাছে যা হয়েছে তা ছিল রেলের নকল বিপর্যয়। তবে সব কিছুই আসলের মতোই সাজানো হয়। এই রকম বিপর্যয় হলে কী করণীয় তারই মহড়ায় অংশ নিতে হাজির ছিলেন জাতীয় দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনী (এনডিআরএফ)র সদস্যরা। সেখানে সঙ্গে ছিলেন রাজ্য পুলিশ, দমকল, আরপিএফ এবং রেলের আধিকারিকরা। এই পুরো মক ড্রিল হয়েছে আসানসোলের ডিআরএম চেতনানন্দ সিং-য়ের উপস্থিতিতে।

    রেলের তরফে জানানো হয়েছে , ট্রেনে এই রকম বিপর্যয় হলে ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রীদের কী ভাবে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার করা হয় তারই হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত রেল যাত্রীদের পরিজনদের উদ্বেগ কমাতে কতগুলি ও কোথায় কী ভাবে অনুসন্ধান কেন্দ্র তৈরি করা হবে তাও হাতে কলমে করে দেখানো হয়েছে। জানানো হয়েছে, আসানসোল, চিত্তরঞ্জন মধুপুর, জসিডি স্টেশনে 'নকল' অনুসন্ধান কেন্দ্র খোলা হয়। এই কেন্দ্রগুলি থেকে কী ভাবে প্রতি মুহূর্তে খবর সরবরাহ করা হবে তাও দেখানো হয়েছে।

    এই মক ড্রিল শুরু হয় সকাল ১০ টা নাগাদ এবং দুপুর ১ টার পরে তা শেষ হয়।

  • Link to this news (এই সময়)