• ইদের ভিড়ে জমজমাট হাওড়ার মিনি জ়াকারিয়া স্ট্রিট
    এই সময় | ৩০ মার্চ ২০২৫
  • মহম্মদ মহসিন, উলুবেড়িয়া

    দক্ষিণ–পূর্ব রেলের বীরশিবপুর স্টেশনে নেমে হাঁটা পথে কয়েক মিনিট গেলেই মারকাজ মসজিদ। যে গলি রাস্তা দিয়ে মসজিদে যেতে হয় তার দু’ধারে ইদের আগে পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানদাররা। সেখানেই বিক্রি হচ্ছে হালিম, শিককাবাব, লাচ্চা, সিমাই। এ ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের নবাবী খাবার এবং শুকনো ফল। হরেক রকমের মিষ্টিও পাওয়া যাচ্ছে।

    সন্ধ্যায় রোজা ভাঙার পর সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন মানুষ। গলির মুখে বেশ কয়েকটি রেডিমেড পোশাকের দোকান রয়েছে। সেখানেও জমজমাট ভিড়। এই সব দোকানে দেদার বিকোচ্ছে পাঞ্জাবি, চুড়িদার এবং টুপি। তার দৌলতে রাত পর্যন্ত গমগম করছে পুরো এলাকা। তা দেখে মারকাজ মসজিদ গলির সঙ্গে কলকাতার জ়াকারিয়া স্ট্রিটের তুলনা টানছেন অনেকে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগামী দিনে এটাই হাওড়ার জ়াকারিয়া স্ট্রিট হয়ে উঠবে।

    উলুবেড়িয়া এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ এবং এলাকার ভুমিপুত্র আজিজুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘কলকাতার জ়াকারিয়া স্ট্রিটের সঙ্গে মতো অত বড় না হলেও ইদের আগে মারকাজ মসজিদ গলি বাজারে প্রচুর মানুষ কেনাকাটা করতে আসেন। রোজা ভাঙার পর এখানে অনেকেই খাওয়াদাওয়া করেন। জ়াকারিয়া না হলেও এটা হাওড়ার গ্রামীণ জেলার মধ্যে অন্যতম আকর্ষণের জায়গা হয়ে উঠেছে।’

    তিনি জানিয়েছেন, করোনার পর থেকেই এই মার্কেটের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। দোকানের সংখ্যাও বেড়েছে। ইদের অনেক আগে থেকেই এই মার্কেটে ভিড় শুরু হয়ে যায়। এখানে নানা ধরনের দোকান রয়েছে। অনেক নবাবী খাবারের দোকান রয়েছে। তার জন্য অনেকে এটাকে হাওড়ার মিনি জ়াকারিয়া স্ট্রিট বলে সম্বোধন করেন।

    স্থানীয় ব্যবসায়ী মুনতাসির রহমান জানালেন, হাওড়া জেলা ছাড়াও হুগলি, দুই ২৪ পরগনা এবং দুই মেদিনীপুর থেকেও বহু ক্রেতা এখানে কেনাকাটা করতে আসেন।

    মহেশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সেখ সাহাবর বলেন, ‘দিনের বেশির ভাগ সময় আমি নিজে এখানে বসে থাকি। আমি না থাকলে আমার ছেলেরা নজর রাখে। বাইক কিংবা গাড়ি রাখা নিয়ে সমস্যা হলে আমরাই তার মীমাংসা করে দিই। ইদের সময় এলাকাকে সুন্দর করে সাজানো হয়। রাস্তায় তোরণ বসানো হয়। আলো দিয়ে এলাকাকে সাজানো হয়।’

  • Link to this news (এই সময়)