এই সময়, খানাকুল: হুগলির খানাকুল বিধানসভার একেবারে প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত হিরাপুর গ্রাম। বর্ষার সময় এই গ্রামটি জলের তলায় চলে যায়। বন্যায় ভেসে যায় ঘরবাড়ি। নষ্ট হয় জমির ফসল। বর্ষার সময় কয়েক মাস নৌকায় করে যাতায়াত করতে হয় এখানকার মানুষকে। আধুনিক জীবনের সমস্ত সুখ স্বাচ্ছন্দ্য থেকে বঞ্চিত এই গ্রামের বাসিন্দারা।
২০২৪ সালের বন্যায় যাঁদের ঘরবাড়ি ভেঙে গিয়েছিল তাঁরা এখনও ধাক্কা সামলে উঠতে পারেননি। বহু মানুষ কুঁড়েঘরে বসবাস করছেন। আর কয়েক দিন পরেই খুশির ইদ। ছেলে মেয়েদের নতুন জামা কাপড় কিনে দেওয়ার মতো আর্থিক সামর্থ্য নেই অনেকের। সেই পিছিয়ে থাকা হিরাপুর গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ইদের আগে পংক্তি ভোজন করাল নীরবে আমরা এবং উত্তরন নামে আর একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
দুপুরের খাবারের তালিকায় ছিল ভাত, মাংস, ডাল, মিষ্টি, পাঁপড় ও চাটনি। খুদে পড়ুয়াদের নিয়ে কুইজ প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়। তার সঙ্গে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ইদের উপহার হিসাবে ছাত্র–ছাত্রীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় নতুন পোশাক।
এর অন্যতম উদ্যোক্তা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা উত্তরনের সদস্য সংগীত চৌধুরী বলেন, ‘বাংলা হচ্ছে সম্প্রীতির রাজ্য। আমরা সবাই এক সঙ্গে বসবাস করি। আর কয়েক দিন পরেই খুশির ইদ। তার আগে ভাই বোনেদের হাতে নতুন বস্ত্র তুলে দিলাম।’ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোমেস ঘোষ বলেন, নীরবে আমরা এবং উত্তরনের যৌথ প্রচেষ্টায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল৷ এতে খুশি ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকরা৷