এই সময়, কলকাতা ও মালদা: গত বুধবার থেকে শুক্রবার, তিন দিন ধরে মালদার মোথাবাড়িতে অশান্তি ও গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় ৬১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে এখনও পর্যন্ত ১৯টি মামলা রুজু করা হয়েছে। শনিবার ভবানী ভবনে রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম বলেন, ‘ঘটনা সামনে আসতেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।’
যদিও মোথাবাড়ির ঘটনায় গোয়েন্দা–ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে শনিবার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন মালদা জেলা সিপিএম নেতৃত্ব। শনিবার তাঁরা স্মারকলিপি দেন ইংরেজবাজার থানায়। এ দিন সকাল থেকেই মোথাবাড়ি চৌরঙ্গি মোড়, বাঙ্গিটোলা, পঞ্চানন্দপুর–সহ বেশ কয়েকটি তল্লাটের পরিবেশ ছিল থমথমে। মোথাবাড়ি থানা চত্বর লাগোয়া দোকানপাট, বাজার–হাটের প্রায় পুরোটাই বন্ধই ছিল। জেলা পুলিশের কর্তারা বাহিনী নিয়ে জায়গায় জায়গায় এ দিন টহল দিয়েছেন।
ইংরেজবাজার শহরের কালীতলা এলাকায় সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ে এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে দলের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, ‘গোয়েন্দা–ব্যর্থতার কারণে মোথাবাড়ির এই ঘটনা ঘটেছে। আগেভাগে গোয়েন্দাদের (ইনটেলিজেন্স) কাছে এই খবর থাকলে সেটা আটকানো যেত।’ সিপিএমের জেলা সম্পাদকের দাবি, ‘পুলিশ–প্রশাসনকে ঢিলেঢালা মনোভাব ছাড়তে হবে। আগামীতে একাধিক উৎসব রয়েছে। তাই, পুলিশকে আরও সক্রিয় হতে হবে।’ পাশাপাশি, মোথাবাড়ির ঘটনা নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার শনিবার ট্রেনে মালদায় পৌঁছেছেন। বিজেপির তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় জানানো হয়েছে, আজ, রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় সুকান্তর নেতৃত্বে দলের নেতা-নেত্রী–কর্মীদের জেলা সদর কার্যালয়ে জড়ো হতে বলা হয়েছে। সেখান থেকে মোথাবাড়ির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা সুকান্তর। বিজেপির আজকের এই কর্মসূচির উপর নজর রয়েছে পুলিশ–প্রশাসনের।