• জাল ওষুধের উৎস খুঁজতে তিন রাজ্যকে চিঠি দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার
    এই সময় | ৩০ মার্চ ২০২৫
  • এই সময়: একের পর এক জাল ওষুধ নিয়ে জেরবার রাজ্য এ বার উৎসের খোঁজে দিল্লি, বিহার, উত্তরপ্রদেশ সরকারকে চিঠি দিয়ে সাহায্য চাইল। তদন্তে নেমে এই রাজ্যেগুলির একাধিক জায়গায় নামী–দামী কোম্পানির জাল ওষুধ তৈরির পর্যাপ্ত প্রমাণ পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলার। চিঠিতে রাজ্য সরকার তিন রাজ্যকেই ভেজাল ওষুধ কাণ্ডের তদন্তে পাওয়া বিভিন্ন তথ্য বিস্তারিত ভাবে উল্লেখ করেছে। পশ্চিমবঙ্গের দেওয়া এই ভেজাল ওষুধ সংক্রান্ত তথ্য পরীক্ষা করে তাদের রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

    নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ ড্রাগ কন্ট্রোল অভিযানে নেমে বেশ কিছু ওষুধ বাজেয়াপ্ত করেছে। ভেজাল ওষুধের সঙ্গে আটক করা নথি বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, উত্তরপ্রদেশের আগ্রা, বিহার ও দিল্লি থেকে এই ওষুধ এ রাজ্যে আনা হয়েছিল। অভিযুক্ত এক ডিস্ট্রিবিউটারের বাজেয়াপ্ত খাতা থেকে এই ওষুধ কোথা থেকে এসেছিল তার ঠিকানা উদ্ধার করা হয়েছে। তাই এই তিন রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোলকে ঠিকানা–সহ তথ্য পাঠিয়ে তার সত্যতা যাচাই করে দিতে বলা হয়েছে।

    পশ্চিমবঙ্গ সরকার জানতে চায়, যে ঠিকানা পাওয়া গিয়েছে তা কতটা ঠিক? সেখানে আদতে কোনও ওষুধের কারখানা রয়েছে? থাকলে তাদের সরকারি লাইসেন্স রয়েছে কিনা। সেখানে আসল ওষুধ নাকি ভেজাল ওষুধ প্রস্তুত হয়, এই প্রশ্নের অনুসন্ধান করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ড্রাগ কন্ট্রোল প্যানটোপ্রাজ়ল, ডক্সিসাইক্লিন গ্রুপের ওষুধ বাজেয়াপ্ত করেছে।

    ডক্টর রেড্ডি ল্যাব, অ্যাবট, সিপলার মতো নামি কোম্পানির ওষুধ জাল হয়েছে। শিডিউল এইচ টু ড্রাগ কিছু ওষুধ রয়েছে। এই ওষুধগুলির কিউআর কোড স্ক্যান করে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। সেখানে ‘নট ফাউন্ড’ দেখাচ্ছে।

    প্রসঙ্গত, রাজ্যে গত ফেব্রুয়ারিতে সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড অরগানাইজ়েশন একটি ওষুধ নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে। এই ওষুধটির নাম টেলমা-এইচ ৪০। ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা জানিয়েছে, এটি জাল ওষুধ। তারা প্রস্তুত করেনি। এ ছাড়াও ফেব্রুয়ারিতে তারা ৪৭টি ওষুধকে সঠিক গুণমানের ওষুধ নয় বলে চিহ্নিত করেছে। এর মধ্যে কলকাতার সেন্ট্রাল ড্রাগ ল্যাবরেটরি ২৭টি ওষুধকে চিহ্নিত করেছে। যা মূলত হিমাচল প্রদেশ, ওডিশা, উত্তরাখণ্ডের সংস্থা।

    এর বাইরে পশ্চিমবঙ্গের একটি সংস্থার তিনটি ওষুধকে চিহ্নিত করা হয়েছে। গুয়াহাটির সেন্ট্রাল ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরি ১০টি, মুম্বইয়ে ছ’টি, ইন্ডোরে দু’টি, চন্ডিগড় ও হায়দ্রাবাদে েসন্ট্রাল ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে একটি করে ওষুধের সঠিক গুণমান নেই বলে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছে।

  • Link to this news (এই সময়)