সিভিক ভলান্টিয়ারের অস্বাভাবিক মৃত্যু মুর্শিদাবাদের সাগরপাড়ায়। মৃতের নাম আব্দুর রউফ (৩৫)। বাইকের উপর উপুড় হয়ে পড়েছিল তাঁর দেহ। পুলিশের অনুমান, দুর্ঘটনা। পরিবারের দাবি, কেউ মেরে এ ভাবে ফেলে রেখে গিয়েছে। যাতে দুর্ঘটনা ধরে নেয় সকলে।
সাগরপাড়া থানায় সিভিক ভলান্টিয়ার হিসাবে কাজ করতেন আব্দুর। প্রতিদিনই রাত ১২টা-১টা বেজে যায় ডিউটি সেরে ফিরতে। শনিবারও রাত হচ্ছিল। আব্দুরের স্ত্রী মৌসুমী বিশ্বাস ওরফে মৌসুমী বিবি জানান, স্বামী বলে গিয়েছিলেন, থানায় এ দিন ইফতার আছে। রাত গড়ালেও বাড়ি না ফেরায় স্ত্রী ভেবেছিলেন, খাওয়াদাওয়া সেরে ফিরতে হয়তো দেরি হচ্ছে, সেহরির আগে ফিরে আসবেন।
এরই মধ্যে রবিবার সকালে কুতুবপুর এলাকায় রাস্তায় ধারে আব্দুরের দেহ উদ্ধার হয়। আব্দুরের স্ত্রীর দাবি, তাঁর স্বামীর ভালো কেউ দেখতে পারতেন না। স্বামী চাকরি করেন, তা নিয়ে এলাকার অনেকেরই হিংসা। মৃতের বোনেরও বক্তব্য, কেউ মেরে ফেলেছে আব্দুরকে। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, পথদুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের। পুলিশেরও তাই অনুমান।
এ দিন সকালে রাস্তার ধারে তাঁকে পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার লোকজন। তড়িঘড়ি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় সাগরপাড়া উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে জানান। রাত পোহালেই ইদ। বাড়িতে বাড়িতে উৎসবের আয়োজন। তার আগে জলজ্যান্ত ছেলের এ ভাবে চলে যাওয়ায় মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে পরিবারের।
আব্দুরের স্ত্রী মৌসুমীর কথায়, ‘রাত হয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেনি ও। আমাদের ঘরে আর কোনও মোবাইল ফোন নেই। রাত তখন ১টা, শাশুড়ি বলছেন, ছেলেটা তো এখনও ফিরল না। আমি আবার বললাম, হয়ত কোনও কাজে আছে। সকালে এই খবর এল। আমার স্বামীকে খুন করা হয়েছে। আমি দোষীদের শাস্তি চাই।’
ডোমকলের এসডিপিও শুভম বাজাজ বলেন, ‘আব্দুর রউফ ডিউটি সেরে বেরিয়ে গিয়েছিল। মোটরবাইক চালিয়ে সাগরপাড়া থানার কুতুবপুরে নিজের বাড়িতে যাওয়ার পথে রাস্তার পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। মাথায় চোট রয়েছে। কোনও ভাবে বাইক দুর্ঘটনায় এই ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।’