• ইদের আগে পূর্ব মেদিনীপুরের বাজারে দেদার কাটছে জিমি চু
    এই সময় | ৩০ মার্চ ২০২৫
  • অরূপকুমার পাল

    অনলাইন আছে। হোম ডেলিভারি আছে। তবুও ভিড় আছে চেনা বাজারে। সেই ভিড় এতটাই যে, শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত দফায় দফায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে তমলুক-পাঁশকুড়া রাজ্য সড়ক।

    দুয়ারে কড়া নাড়ছে ইদ। আর তার আগেই জমজমাট বাজার। ফল থেকে সেমুই, পোশাক থেকে আতর— প্রায় সব দোকানেই ‘ঠাঁই নাই’ দশা। তমলুকে যেমন এ দিন উপচে পড়েছিল ভিড়। পূর্ব মেদিনীপুরের প্রায় প্রতিটি বাজারেই ছবিটা ছিল কমবেশি একই রকম। সবচেয়ে বেশি ভিড় হয়েছে তমলুকের রাধামণি বাজারে। তিন-চারটি জেলার মানুষ এই বাজারেই পোশাক কিনতে ভিড় জমান।

    অনলাইন মার্কেটিংয়ের যুগেও ভিড়ের বহরে আশার আলো দেখছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, রাধামণি বাজারে ইদের কেনাকাটায় সবচেয়ে বেশি চাহিদা সুতির ছাপা শাড়ির। ৪০০ থেকে শুরু করে ৭০০ টাকার শাড়ি এ দিন বেশি বিক্রি হয়েছে। লুঙ্গি ও সাদা টুপিরও চাহিদা ছিল। ইদের বাজারে এ বার নজর কেড়েছে— জিমি চু।

    জিমি চু? হাসতে হাসতে এক ব্যবসায়ী জানাচ্ছেন, পাথর বসানো জিমি চু শাড়ি এ বার ইদের বাজারে নতুন ট্রেন্ড। কাকদ্বীপ থেকে রাধামণিতে ইদের কেনাকাটা করতে এসেছিলেন বিলকিস বেগম। তিনি বলেন, ‘ইদে অনেক পোশাক কিনতে হয়। স্থানীয় বাজারে দাম একটু বেশি। তাই লঞ্চে নদী পেরিয়ে রাধামণি এসেছি। মন খুলে বাজার করেছি।’

    ছবিটা একটু অন্যরকম পড়শি জেলা ঝাড়গ্রামে। ঝাড়গ্রাম জেলা সদরের জুবলি মার্কেট থেকে শুরু করে ব্লক সদরের বাজারে ভিড় ছিল। তবে ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, আরও বেশি ভিড় তাঁরা প্রত্যাশা করেছিলেন। ঝাড়গ্রাম শহরের বস্ত্র ব্যবসায়ী শেখ আব্দুল হালিম বলেন, ‘এ বারে বাজার তেমন ভালো নয়। বেশিরভাগ লোকজন কেনাকাটার জন্য বেছে নিচ্ছেন অনলাইন কিংবা শপিং মল। প্রচণ্ড গরমের জন্যও লোকজন একটু কম আসছেন।’ তবে ঝাড়গ্রাম শহরের একাধিক শপিং মলে বেশ ভিড় ছিল।

  • Link to this news (এই সময়)