• হাওড়ায় নতুন সঙ্কট, সাফাই বন্ধে জঞ্জালের পাহাড় একাধিক ওয়ার্ডে, কী বলছে পুরসভা?
    এই সময় | ৩০ মার্চ ২০২৫
  • হাওড়ার বেলগাছিয়ায় ভাগাড় বিপর্যয়ের পর থেকেই একের পর এক সঙ্কটে পুর এলাকার বাসিন্দারা। জল কষ্ট সামলে উঠতে না উঠতেই শহরের বিস্তীর্ণ এলাকায় গত কয়েকদিন নিয়মিত জঞ্জাল সাফাই বন্ধ। স্বাভাবিকভাবেই, ভ্যাটগুলিতে জমছে বর্জ্যের পাহাড়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সোমবারের মধ্যে শহর পরিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুর প্রশাসন।

    হাওড়া পুরসভার ৫০টি ওয়ার্ডের মধ্যে বেশ কিছু ওয়ার্ডে গত কয়েক দিন জঞ্জাল সাফাই না হওয়ায় সমস্যায় পড়েন বাসিন্দারা। চ্যাটার্জিহাট, কদমতলা, পঞ্চাননতলা, সালকিয়া, শিবপুর এবং টিকিয়াপাড়া এলাকায় অধিকাংশ ভ্যাটে জঞ্জাল উপচে পড়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। দুর্গন্ধে টেকা দায়। দূষণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। রবিবার সকালেও আবর্জনা সাফাই না হওয়ায় পুরসভার গাড়ি আটকে শরৎ চ্যাটার্জি রোড দীর্ঘক্ষণ অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ গত পাঁচদিন ধরে ময়লা পরিষ্কার হয়নি।

    হাওড়া পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, প্রতিদিন হাওড়া শহরের ৬০০ মেট্রিক টন আবর্জনা তৈরি হয়। বেলগাছিয়া ভাগাড়ের বিপর্যয়ের কারণে জঞ্জাল সাফাই করতে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তবে পুর ও নগর উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সহযোগিতায় পুরসভা ২০টি অতিরিক্ত বড় ডাম্পার পেয়েছে। এর ফলে দিনে এবং রাতে কাজ করে জমা জঞ্জাল সরাসরি ধাপার মাঠে ফেলা হচ্ছে।

    উল্লেখ্য, বেলগাছিয়া ভাগাড়ের বিকল্প হিসাবে সাময়িক ভাবে আড়ুপাড়ায় অস্থায়ী ভাগাড় তৈরি করার চেষ্টা করে পুর প্রশাসন। কিন্তু স্থানীয়দের আপত্তিতে আবর্জনার গাড়ি কলকাতা পুরসভার ধাপায় পাঠানো শুরু হয়েছে বুধবার থেকেই। সুজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, সোমবার ইদের সকালের মধ্যেই শহরের সব জায়গা থেকে আবর্জনা পরিষ্কার করে দেওয়া হবে। রবিবার স্টেট আরবান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির ডিরেক্টর জলি চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক রয়েছে। শহরের বিভিন্ন অঞ্চল পরিদর্শন করবেন তিনি। কিছুদিনের মধ্যেই ২০টি কম্প্যাক্টর যন্ত্র আসার কথা রয়েছে। এর পরেই ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আশায় পুর প্রশাসন।

  • Link to this news (এই সময়)