• বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে ঢুকতে পর্যটকদের জন্য নতুন নিয়ম, না মানলে আর ঢোকা যাবে না জঙ্গলে
    এই সময় | ৩০ মার্চ ২০২৫
  • এ বার থেকে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে পর্যটকদের জন্য বাধ্যতামূলক ‘এন্ট্রি পারমিট’। জিপসি সাফারি করতে হলে বাধ্যতামূলক ভাবে আধার কার্ড অথবা অন্য কোনও সরকারি স্বীকৃত পরিচয়পত্র জমা দিতে হবে পর্যটকদের। এর পরেই মিলবে ‘এন্ট্রি পারমিট’। তবে জঙ্গলে প্রবেশের জন্য কোনও মূল্য দিতে হবে না। জঙ্গলে কে বা কারা প্রবেশ করছেন, সেই তথ্য থাকবে কর্তৃপক্ষের কাছে।

    প্রসঙ্গত, গত ২২ জানুয়ারি আলিপুরদুয়ারের প্যারেড গ্রাউন্ডে একটি প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়ে স্থানীয় বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালের থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানতে পারেন বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে প্রবেশ করার জন্য পর্যটকদের মোটা টাকা দিতে হয়। এই নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের সংরক্ষিত বনাঞ্চলগুলি থেকে প্রবেশ মূল্য প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

    এ দিকে নিয়ম শিথিল হওয়ার পরে একশ্রেণির পর্যটকরা অবাধে জঙ্গলে প্রবেশ করছিলেন। ফলে অধিকাংশ সময়ে পর্যটকদের নাম এবং পরিচয় সংক্রান্ত নথি থাকছিল না পর্যটকদের হাতে। বিষয়টি নজরে আসার পরেই নড়েচড়ে বসে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।

    নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে তাই পরিচয়পত্র জমা রাখার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। রাজাভাতখাওয়া চেক পোস্টে বাধ্যতামূলক পর্যটকদের পরিচয়পত্র জমা দিতে হবে। এর পর কোনও প্রবেশমূল্য ছাড়াই ‘এন্ট্রি পারমিট’ দেওয়া হবে তাঁদের। প্রত্যেক পর্যটকদের জাতীয় বাঘ সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের ( ন্যশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটি) গাউড লাইন মানতে হবে। সেখানে বন্যপ্রাণীদের উত্যক্ত না করা, হর্ন না বাজানো, সার্চ বা স্পট লাইট ব্যবহার না করার মতো নির্দেশ রয়েছে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা অপূর্ব সেন জানান, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ভেতরে বসবাসকারীদের জন্যে এই পারমিটের প্রয়োজন নেই। বহিরাগত পর্যটকদের তা মানতে হবে। তাঁদের পরিচয় সংক্রান্ত নথি যাতে বন দপ্তরের কাছে থাকে, সেই জন্য এই সিদ্ধান্ত।

    (তথ্য সহায়তা: পিনাকি চক্রবর্তী)

  • Link to this news (এই সময়)