• ৪০.৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা! তীব্র দাবদাহে নাজেহাল মানুষ থেকে বন্যপ্রাণ...
    ২৪ ঘন্টা | ৩০ মার্চ ২০২৫
  • মনোরঞ্জন মিশ্র: ৪০.৪ ডিগ্রি তাপমাত্রায় তীব্র দাবদাহে নাজেহাল অবস্থা পুরুলিয়াবাসীর। হাঁসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের। একই অবস্থা বন্য জীবজন্তুর ক্ষেত্রেও। তাদের করুণ অবস্থার কথা ভেবে ব্যবস্থা নেওয়া হল আগেভাগেই।

    গ্রীষ্মের মরশুমে পুরুলিয়া শহরের উপকণ্ঠে কংসাবতী উত্তর বনবিভাগের সুরুলিয়া মিনি জু'তে বন্যপ্রাণদের সুস্থসবল রাখতে বদল করা হল ডায়েট চার্ট। এবার থেকে খাবারে দেওয়া হচ্ছে তরমুজ, শশা, কলা, ছোলা এবং অন্যান্য জল-জাতীয় ফল।

    মাটির পাত্রে হালকা বরফ মিশ্রিত জলের সঙ্গে থাকছে ওআরএস, গ্লুকোজ। হরিণকে বেশি করে খাওয়ানো হচ্ছে শসা, কচি পাতা। ভল্লুককে দেওয়া হচ্ছে লাল তরমুজ। বন্যপ্রাণদের জলকেলির জন্য ওয়াটারপুলও তৈরি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মাথার উপর সবুজ আচ্ছাদনে তৈরি করা হয়েছে শীতল আবহ। 

    সম্বর হরিণ, চিতল হরিণের জন্য তৈরি করা হয়েছে পুল। সম্বর ও চিতল হরিণের জন্য মাথার উপর স্থায়ী আচ্ছাদনও দেওয়া হয়েছে। চৌবাচ্চায় সব সময় ঠান্ডা জল রাখা হচ্ছে, যাতে হরিণের দল তৃষ্ণা নিবারণ করতে পারে। ময়ূর, মদনটাক, লাল বনমোরগ, সিলভার ফেজান্ট, ফিশিং ক্যাট, হায়নার মতো বন্যপ্রাণীরা যাতে খাঁচার মধ্যেও এই প্রখর দাবদাহে অবাধে বিচরণ করতে পারে, সেজন্য স্থায়ী শেড তৈরি করা হয়েছে। রয়েছে সবুজ এগ্রো নেট।

    অজগর এবং বানরের স্থায়ী বাসস্থানে ঘন ঘন জল দিয়ে ঘর ঠান্ডা রাখা হচ্ছে। বানর ও পাখিদের মতো প্রাণীকে স্প্রিংকলারে স্নান করানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে বন বিভাগের পক্ষ থেকে। গ্রীষ্মের মরশুমেও এই সব বন্যপ্রাণ দেখতে সুরুলিয়া মিনি জু'তে ভিড় জমাচ্ছে পর্যটকেরা। 

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)