লোকালয়ে বাঘের পায়ের ছাপ দেখে ঘুম উড়েছিল কুলতলির বাসিন্দাদের। এর পর মাঝে ‘ঝড় বয়ে গিয়েছে’। বন দপ্তরের পক্ষ থেকে বাঘটিকে তার ঘরে ফেরানোর সমস্ত পদক্ষেপ করা হয়েছিল। অবশেষে তাতে মিলল সাফল্য। রবিবার গ্রামবাসীকে স্বস্তি দিয়ে জঙ্গলে ফিরে গেল বাঘটি।
শনিবার কুলতলির দেউলবাড়ি গ্রাম লাগোয়া নদীর চরে মাছ ধরছিলেন এক স্থানীয় মৎস্যজীবী। তিনি দাবি করেন, সেই সময়ে একটি বাঘকে নদী পার হয়ে গ্রামে আসতে দেখেন তিনি। এই খবর সামনে আসার পরেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে। খবর দেওয়া হয় বন দপ্তরকে। বনকর্মীরা এসে এলাকায় নজরদারি শুরু করেন। গ্রামের বাসিন্দাদের সতর্ক করে তাঁদের বাড়ি থেকে বার হতে নিষেধ করা হয়। রাতে এলাকায় বসে পাহারাও।
গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছিলেন, নদী পেরিয়ে গ্রামের একটি ধান ক্ষেতে ঢোকে বাঘটি। এর পর প্রায় দশ বিঘা জমি জাল দিয়ে ঘিরে ফেলেন বনকর্মীরা। পরে ওই এলাকা থেকে কিছুটা দূরে অন্য একটি জায়গায় ফের বাঘের পায়ের ছাপ দেখা যায়। সেখানেও নজরদারি শুরু করেন বন কর্মীরা। তবে বাঘের উপস্থিতির প্রমাণ মেলেনি।
এ দিকে জোয়ার এসে যাওয়ায় বাঘটি নদী পেরিয়ে জঙ্গলে চলে গিয়েছে কিনা তাও বোঝার উপায় ছিল না। শেষ পর্যন্ত দুপুরের দিকে ভাটা আসার পর নদী চরে পায়ের ছাপ পরীক্ষা করে দেখে বনকর্মীরা জানান, বাঘটি নদী পেরিয়ে ফের ফিরে গিয়েছে জঙ্গলে। এর পরেই স্বস্তি ফেরে গ্রামে।