দুর্যোগ মোকাবিলার নামে কাটা হচ্ছে গাছ! রেলের কাণ্ডে রেগে কাঁই আমজনতা, পরিবেশ বাঁচাতে শুরু আন্দোলন...
আজকাল | ৩১ মার্চ ২০২৫
মিল্টন সেন
দুর্যোগ মোকাবিলায় এ কেমন পদক্ষেপ? আস্ত একটা গাছের শুধু কান্ডটাই দাঁড়িয়ে আছে। কেটে ফেলা হয়েছে সমস্ত ডালপালা। রবিবার বৈঁচীগ্রাম স্টেশনে অমানবিক ভাবে গাছের ডালপালা কাটার প্রতিবাদে সরব হলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। চৈত্রের শুরুতেই চাঁদি ফাটা গরমে হিমশিম অবস্থা। কালবৈশাখী তো দূর, সামান্য ছিঁটেফোঁটা বৃষ্টিরও কোনও পূর্বাভাস দেয়নি আবহাওয়া দপ্তর। তবু আগেভাগেই দূর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি সেরে রাখছে পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ।
ঝড়জলের মধ্যে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখার ক্ষেত্রে কেটে ফেলা হচ্ছে স্টেশনের বড় বড় গাছের ডালপালা। আর এই নিয়েই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। গাছ বাঁচাতে রীতিমত আন্দোলনে নেমেছে স্থানীয় পরিবেশ প্রেমী সংগঠন। গাছের গায়ে নতুন গামছা বেঁধে ফুল, মালা দিয়ে গাছকে রক্ষা করার আহ্বান জানানো হয়েছে সংগঠনের তরফে। অভিযোগ, হাওড়া-বর্ধমান মেইন লাইনে বৈঁচীগ্রাম স্টেশনে প্রায় ১৮টি বড় গাছকে সম্পূর্ণ ছেঁটে ফেলা হয়েছে। অধিকাংশ গাছের শুধু কান্ডটাই দাঁড়িয়ে আছে।
ফলে, প্রচণ্ড রোদে যাত্রীদের রোদের মধ্যেই দাঁড়াতে হচ্ছে। বৈঁচিগ্রামের পরিবেশপ্রেমী সংগঠন আটচালার সদস্যরা স্টেশন চত্বরে বিক্ষোভ দেখান। তাঁরা জানাচ্ছেন, যে গাছের ডাল বিপজ্জনক সেইগুলোকে অনায়াসেই কেটে ফেলা যেত। তাহলে তেমন কোনও সমস্যা হতো না। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক দীপ্তিময় দত্ত জানান, ‘ঝড় বৃষ্টি হলে গাছের ডাল ভেঙে তারের ওপর এসে পড়ে। ফলে, ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হয়। তাই প্রতিবছরই এই সময় রেল স্টেশনে থাকা গাছের ডাল ছাঁটা হয়। তবে গাছটা থেকে যায়। বর্ষার জল পরলেই গাছ থেকে আবার ডালপালা গজিয়ে যায়। এখন ট্রিমিং করলে কতদিন পরে আবার ডাল গজাবে সেটা বুঝে শুনেই গাছ ট্রিমিং করা হয়। এমন ভাবে কাটা হয় না, যাতে গাছটাই না থাকে’।