• লটারি জেতার ‘উপায়’ শেখান ইউটিউবে, গড়বেতার শিশু অপহরণ কাণ্ডে গ্রেপ্তার আরও এক তান্ত্রিক
    এই সময় | ৩১ মার্চ ২০২৫
  • চার বছরের শিশুকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছিল গড়বেতার এক যুবকের বিরুদ্ধে। শনিবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল অভিযুক্ত যুবক রঞ্জিত রুইদাসকে। ওই যুবক তন্ত্র সাধনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে দাবি ছিল স্থানীয়দের। রবিবার যুবকের তান্ত্রিক ‘গুরু’ বলে পরিচিত আরও একজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃত ব্যক্তির নাম রঞ্জন বিশ্বাস। দু’জনকেই রবিবার দুপুরে গড়বেতা কোর্টে তোলা হয়। দু’জনকেই তিন দিনের পুলিশ হেফাজত দেওয়া হয়েছে বলে খবর আদালত সূত্রে।

    শনিবার বিকেলে গোটা শরীরে সিঁদুর মাখানো অবস্থায় সারগা গ্রামের এক মূক ও বধির শিশুকে উদ্ধার করা হয় পাশের বাড়ির চিলেকোঠার একটি বন্ধ ঘর থেকে। ঘটনার পরই গ্রামবাসীরা রঞ্জিত রুইদাসকে আটক করে চন্দ্রকোনা রোড ফাঁড়ির পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ ছিল, রঞ্জিত ইদানিং ‘তন্ত্রসাধনা’ শিখছিলেন ওই এলাকারই বাসিন্দা রঞ্জন বিশ্বাসের কাছ থেকে। রঞ্জনের পরামর্শেই শনিবার অমাবস্যা তিথিতে শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলেও দাবি ছিল স্থানীয়দের। 

    শনিবার বিকেলে গ্রামবাসীদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ আটক করে রঞ্জিতকে। আটক করা হয় তার পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যকেও। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হলেও, শিশুটির পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে রঞ্জিত রুইদাসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শনিবার রাতের মধ্যেই গড়বেতার একটি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রঞ্জিতের তন্ত্রসাধনার ‘গুরু’ বছর ৪৫-র রঞ্জন বিশ্বাস নামে ওই তান্ত্রিককেও।

    এলাকাবাসীর অভিযোগ, বছরের পর বছর ধরেই রঞ্জন নাকি বশীকরণ, কালাজাদু-র সঙ্গে যুক্ত। এ সব করেই নাকি সংসার চালান রঞ্জন। ইদানিং নিজের ব্যবসার প্রসার ঘটাতে ‘মায়া মোহিনী তন্ত্রগুরু’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলও খুলেছিলেন। ধীরে ধীরে সেই ইউটিউব চ্যানেল এক শ্রেণির মানুষের কাছে জনপ্রিয়ও হচ্ছিল। গোটা ঘটনায় রঞ্জনের ভূমিকা কী তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 

    অন্যদিকে শিশুটির পরিচর্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। বিডিও দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমি নিজে আজ ওই গ্রামে গিয়েছিলাম। পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। সব ঠিকঠাক আছে। শিশুটির যাতে বিশেষ যত্ন নেওয়া হয়, সে জন্য আমি স্থানীয় অঙ্গনওয়াড়ির সহায়িকা এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছি।’

  • Link to this news (এই সময়)