এই সময়: কলকাতা মেট্রোর পার্পল লাইন জোকায় শুরু হয়ে বিবাদী বাগেই থেমে যাবে না। লাইনটি আরও ১.৬ কিলোমিটার সম্প্রসারিত হয়ে এই লাইনের শেষ স্টেশন হবে ইডেন গার্ডেন্স। কলকাতায় মেট্রোপথের বিন্যাস নিয়ে এমন অনুমোদন আগেই দিয়েছিল রেল বোর্ড। এ বার সে জন্য অর্থও বরাদ্দ হয়েছে।
জানা গিয়েছে, পার্পল লাইনকে বিবাদী বাগ থেকে ইডেন গার্ডেন্স স্টেশন পর্যন্ত নিয়ে যেতে প্রাথমিক ভাবে এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে বোর্ড। এর ফলে ওই লাইনের বরাদ্দ বেড়ে হলো ১০ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা। লাইন নির্মাণের ভারপ্রাপ্ত সংস্থা রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেডের (আরভিএনএল) ইঞ্জিনিয়াররা জানাচ্ছেন, রুটের শেষ স্টেশনটি তৈরি হবে মোহনবাগান ফুটবল মাঠের কাছে ইডেনের এক নম্বর গেটের সামনে।
এই সম্প্রসারণ খাতায় কলমে মাত্র ১.৬ কিলোমিটারের। কিন্তু এই ‘এক ঢিলে–ই একসঙ্গে অনেক পাখি’ মারতে চলেছে মেট্রো। একদিকে এই সম্প্রসারণের ফলে ক্রিকেট ও ফুটবলপ্রেমীদের দারুণ সুবিধে হবে। যাঁরা সরাসরি পার্পল লাইনের ট্রেন ধরতে পারবেন না, তাঁরা কোনও ভাবে মেট্রো ধরে এসপ্ল্যানেডে নেমে পার্পল লাইনে গিয়ে নামতে পারবেন ইডেন কিংবা ফুটবল মাঠের সামনে। তা ছাড়া, প্রস্তাবিত ইডেন গার্ডেন্স স্টেশন থেকে বেরিয়ে সামনেই বাবুঘাট, স্ট্র্যান্ড রোড, হাইকোর্ট এবং বিবাদী বাগ — কর্মক্ষেত্রে সহজে পৌঁছনোও সহজ হবে।
এই লাইন নিয়ে প্রাথমিক ভাবে মেট্রো ঠিক করেছিল জোকা থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত ১৪.৪ কিলোমিটার পথে ট্রেন চালাবে। কিন্তু দেখা গেল, রুটকে আরও ১.৬ কিলোমিটার সম্প্রসারিত করে ইডেন গার্ডেন্স পর্যন্ত নিয়ে গেলে এর দৈর্ঘ্য হবে ১৬ কিলোমিটার। স্টেশনের সংখ্যা হবে মোট ১৩টি। এর মধ্যে আটটি স্টেশন এলিভেটেড এবং পাঁচটি ভূগর্ভস্থ।
আরভিএনএল–এর ইঞ্জিনিয়াররা জানাচ্ছেন, পার্পল লাইনে খিদিরপুর থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত ৫ কিমি অংশে মেট্রো চলবে মাটির নীচে। এই অংশে সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে খিদিরপুর থেকে পার্ক স্ট্রিট পর্যন্ত ২.৭ কিলোমিটার অংশে সুড়ঙ্গ তৈরিতে ব্যবহৃত হবে টানেল বোরিং মেশিন। পার্ক স্ট্রিট থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত অংশে সুড়ঙ্গ কাটা হবে ‘কাট অ্যান্ড কভার’ পদ্ধতিতে। ১৯৭০–এর দশকে কলকাতায় মেট্রোর সুড়ঙ্গ কাটা শুরু হয়েছিল এই পদ্ধতিতেই। তবে সদ্য অনুমোদিত এসপ্ল্যানেড থেকে ইডেন গার্ডেন্স পর্যন্ত অংশে কোন পদ্ধতিতে সুড়ঙ্গ তৈরি হবে, সে ব্যাপারে আপাতত কিছু জানানো হয়নি।