নিউ টাউনের ১৪ নম্বর ট্যাঙ্কের কাছে একটি নির্জন জায়গা থেকে উদ্ধার হলো এক টোটো চালকের রক্তাক্ত দেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম সুশান্ত ঘোষ। তিনি রাজারহাটের রেকজোয়ানির মাজেরহাইট এলাকার বাসিন্দা। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের সন্দেহ, সুশান্তকে খুন করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে ইকো পার্ক থানার পুলিশ। বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কের জেরেই কি এই করুণ পরিণতি? নাকি নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও রহস্য? উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন নিউ টাউনে ১৪ নম্বর ট্যাঙ্কের কাছে একটি নির্জন জায়গায় এক টোটো চালকের রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। কিছুটা দূরেই রাখা ছিল তাঁর টোটোটি। স্থানীয়রাই খবর দেন পুলিশে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ এবং সুশান্তকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশ তদন্তে নেমে সুশান্তর পরিচয় জানতে পারেন। খবর দেওয়া হয় তাঁর পরিবারকে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, রবিবার রাতে এক যুবক সুশান্তর বাড়িতে গিয়ে টোটো ভাড়া করেন। তিনি জানান, নিউ টাউন রাম মন্দির থেকে ইকো পার্কে যাবেন। ওই যুবককে নিয়ে রবিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ সুশান্ত বাড়ি থেকে বার হয়েছিলেন। আর বাড়ি ফেরেননি।
পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে রাজারহাটেরএক মহিলার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন সুশান্ত। ওই মহিলার স্বামী একটি টোটো কেনেন এবং তার জন্য সুশান্ত বেশ কয়েক হাজার টাকা তাঁকে ধার দিয়েছিলেন। সম্প্রতি সেই টাকা চাওয়ার পর থেকেই সুশান্তের সঙ্গে অশান্তি শুরু করেন ওই মহিলা এবং তাঁর স্বামী, অভিযোগ মৃতের পরিবারের লোকজনের। তাঁদের অভিযোগ, সেই মহিলাই সুশান্তকে খুন করিয়েছেন।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই ওই মহিলা এবং তাঁর স্বামীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। পাশাপাশি এলাকার সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ওই টোটো চালকের মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কিনা, যাচাই করে দেখছে পুলিশ। সুশান্ত ঘোষের দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
(তথ্য সহায়তা: প্রশান্ত ঘোষ)