এই সময়, পুরুলিয়া: ঝমঝমিয়ে গতির ঝড় তুলে ছুটে গেল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। পুরুলিয়া-কোটশিলার নতুন ডবল লাইনও কেমন যেন আলাদা একটা মাত্রা পেয়ে গেল। কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির ছাড়পত্র পেতেই পুরোদমে শুরু হয়ে গেল ট্রেন চলাচল।
শনিবার সন্ধেয় বিশেষ ইনস্পেকশন ট্রেনে নবগঠিত ৩৬.২ কিলোমিটার এই ডাবল লাইনে স্পিড ট্রায়াল করেন দক্ষিণ–পূর্ব সার্কেলের কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি বৃজেশ কুমার মিশ্র। ছিলেন দক্ষিণ–পূর্ব রেলের আদ্রার ডিআরএম সুমিত নারুলা–সহ রেলের আধিকারিকরা। একটি ডব্লিউডিজি–৪ লোকোমোটিভের সাহায্যে হয় স্পিড ট্রায়াল। সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার গতি তোলা হয় নতুন লাইনে।
ট্রায়াল রান সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হতেই সিআরএসের তরফে নতুন লাইনে বাণিজ্যিক ভাবে ট্রেন চালানোর ছাড়পত্র দেওয়া হয়। তবে আপাতত নতুন লাইনে ট্রেনের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। ছাড়পত্র পাওয়ার পরেই নতুন লাইনে নয়াদিল্লি–পুরী পুরুষোত্তম এক্সপ্রেসকে দিয়ে উদ্বোধনী রান হয়। রাত থেকেই শুরু হয় মালগাড়ির চলাচল।
রবিবার সকালেই রাঁচি–হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেসও চালানো হয় নতুন ডাবল লাইনে। ডাবল লাইন চালু হওয়াকে ঐতিহাসিক মুহূর্ত আখ্যা দিয়ে ডিআরএম জানান, দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হলো যাত্রীদের। রাঁচির সঙ্গে পূর্ব তথা উত্তর–পূর্ব ভারতের যোগাযোগের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত রেল সংযোগ হলো পুরুলিয়া–কোটশিলা রেল শাখা।
রেল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, একসঙ্গে এত দীর্ঘ রেল লাইন বসানো গত কুড়ি বছরে এই প্রথম। পুরুলিয়া থেকে কোটশিলা পর্যন্ত নতুন ডাবল লাইনে ৬৬টি মাইনর ব্রিজ আছে। এ ছাড়াও সাতটি লিমিটেড হাইট সাবওয়ে রয়েছে।ডাবল লাইন চালু হওয়ায় ক্রসিংয়ের সমস্যাও মিটল বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা। ডুয়াল সিঙ্গল লাইন প্রণালীতে ট্রেন চলার জন্য এই লাইনে একসঙ্গে আপ এবং ডাউন ট্রেন চালানো যাবে।