• মুদির দোকানের পিছনে গেলেই গায়েব হয়ে যেত পুরুষদের সব টাকা? ঠেঙিয়ে ‘ভূত’ ভাগালেন মহিলারা
    এই সময় | ৩১ মার্চ ২০২৫
  • বাইরে মুদিখানার দোকান, আর পিছনে মদের ঠেক? আর সেই ‘স্পেশাল সার্ভিস’-এর ঠ্যালায় একদিকে ফাঁকা হচ্ছিল বাড়ির কর্তাদের পকেট, অন্যদিকে কিশোর বয়সেই অনেকেই সুরা পাত্রে মন দিচ্ছিল। এই অভিযোগ তুলে রবিবার রাতে রীতিমতো জ্বলে ওঠেন কুলতুলি ব্লকের মৈপীঠ উপকূল থানা এলাকার দেবীপুরের মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ, রান্নার চাল ফুরোলেও হুঁশ থাকে না বাড়ির কর্তাদের। কিন্তু ওই দোকানের মোহ কিছুতেই ছাড়তে পারছিলেন না তাঁরা। জল নাকের উপর দিয়ে বইতে শুরু করার পরেই পথে নামার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    রবিবার প্রমীলা বাহিনী ঘিরে ফেলে ওই মুদির দোকান। ভাঙচুরও করা হয়। শুধু তাই নয়, সেই সময়ে ওই দোকানে থাকা গ্রাহকদের ব্যাপক মারধর করেন মহিলারা। রীতিমতো অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি সেখানে পৌঁছয় বিরাট পুলিশ বাহিনী। অভিযোগ, মহিলাদের নিরস্ত্র করতে গেলে পুলিশকর্মীদের ঘিরেও বিক্ষোভ দেখানো হয়।

    রবিবারই গ্রেপ্তার করা হয় ওই দোকানের মালিক বিশ্বজিৎ সাউকে। সোমবার তাঁকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে। মহিলাদের দাবি, দেবীপুরের শনিবারের মোড় নামক জায়গায় এই দোকানটি অবস্থিত। সেখানে চাল, ডাল থেকে শুরু করে বাড়ির নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পাওয়া যেত। কিন্তু এই ব্যবসাটি ছিল লোক দেখানো।

    আসলে ওই দোকানে বেআইনি ভাবে মদের কারবার করা হচ্ছিল। এলাকার স্কুল পড়ুয়ারা পর্যন্ত এই দোকান থেকে মদ কিনছিল বলে দাবি প্রমীলা বাহিনীর। তাঁদের অভিযোগ, এর আগে পুলিশকে বিষয়টি জানানো হলেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি দোকানদারের বিরুদ্ধে। রবিবার ওই দোকানের মালিককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

  • Link to this news (এই সময়)