• আইপিএলের আন্তঃরাজ্য বেটিং চক্রের পর্দাফাঁস, উদ্ধার বিপুল সংখ্যক ল্যাপটপ, স্মার্টফোন...
    আজকাল | ৩১ মার্চ ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: গোটা দেশ যখন আইপিএল জ্বরে কাবু ঠিক সেই সময় মুর্শিদাবাদ-মালদা জেলার সীমান্তবর্তী ফরাক্কা থানা এলাকার প্রত্যন্ত একটি গ্রামে বসে আইপিএলের ম্যাচগুলোতে বেটিং চক্র চালানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার হল ন'জন যুবক। ধৃত যুবকদের থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল সংখ্যক স্মার্টফোন, ল্যাপটপ এবং বেটিং চক্র চালানোর জন্য আরও কিছু ইলেকট্রনিক ডিভাইস। 

    জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় জানান,' ধৃতদের বিরুদ্ধে জঙ্গিপুর সাইবার ক্রাইম থানায় একটি মামলার রুজু হয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চক্রের সদস্যরা কীভাবে এই বেটিং চক্র চালাত পুলিশ তা তদন্ত করে দেখছে।' ধৃতদের থেকে ৩২ টি মোবাইল ফোন, পাঁচটি ল্যাপটপ , কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি, বেশ কিছু সিম কার্ড উদ্ধার হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে কয়েকজন ছাত্রও রয়েছে বলে সূত্রের খবর। সকলের বয়স ২১-২৮ বছরের মধ্যে। 

    বেটিং চক্রের সঙ্গে জড়িতরা গত বেশ কয়েক মাস আগে ফরাক্কা থানা এলাকার ইমামনগরে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করে। কিন্তু আইপিএল টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার ঠিক আগেই ওই যুবকেরা বাড়ি পরিবর্তন করে জনৈক মোস্তাকিন হোসেনের নবনির্মিত বাড়ি মাসিক পঁচিশ হাজার টাকায় ভাড়া নেয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,  ছত্তিশগড়ের বাসিন্দা ওই যুবকরা বাড়ি ভাড়া নেওয়ার পর থেকে আটজন যুবক কখনই বাড়ি থেকে বেরত না। কেবলমাত্র একজন যুবক দৈনন্দিন জিনিসপত্র কেনার জন্য মাঝেমধ্যে বাড়ি থেকে বের হত। 

    জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, ওই যুবকদের আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় গত বেশ কিছুদিন ধরে পুলিশ তাদের উপর গোপনে নজরদারি শুরু করে। এর পরেই জানা যায় ওই যুবকেরা একটি বেআইনি অনলাইন মোবাইল ফোন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে গোপনে আইপিএলের জুয়া চক্র চালাচ্ছে। পুলিশ সূত্রের খবর, এই জুয়া চক্রের কোনও লেনদেন নগদ টাকার মাধ্যমে হত না। বিভিন্ন ম্যাচে আইপিএলের দলগুলোতে কোন কোন খেলোয়াড় থাকবে, ম্যাচের ফল কী হবে, কোন ওভারে কতগুলো ছয় বা চার হবে সে সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ের ওপর বিপুল টাকার বেটিং করা হত ওই অ্যাপের মাধ্যমে।  

    বেটিংয়ের সমস্ত টাকা অনলাইনে লেনদেন করা হত। এই মামলার তদন্তকারী এক আধিকারিক জানান ,পুলিশ বা অন্য কোনও তদন্তকারী সংস্থা যাতে সন্দেহ না করতে পারে সেই কারণে ছত্তিশগড় থেকে বহু দূরে মুর্শিদাবাদে ঘাঁটি তৈরি করে এই চক্রটি কাজ করছিল। ধৃতদের মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে আইপিএল ম্যাচের বেটিংয়ের বিপুল টাকার লেনদেনের তথ্যও পাওয়া গিয়েছে।  পুলিশের অনুমান এই চক্রের সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন জড়িয়ে রয়েছে। অভিযুক্তদের সাত দিনের পুলিশে হেফাজতের আবেদন করে সোমবার তাদের জঙ্গিপুর আদালতে পেশ করা হয়েছে।
  • Link to this news (আজকাল)