ঘর ছেড়েও হল না ঘর, প্রেমিকের হাতেই খুন বধূ, পরকীয়ার নৃশংস পরিণাম...
আজকাল | ৩১ মার্চ ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রেমের টানে দুই সন্তানকে ফেলে ঘর ছেড়েছিলেন বধূ। কিন্তু টিকল না সে সম্পর্ক। পরকীয়ার ফাঁদে পড়ে প্রেমিকের হাতেই তাঁকে খুন হতে হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁয় গৃহবধূ খুনের ঘটনায় নয়া মোড়। পুলিশ ঘাতক প্রেমিকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।
গত সপ্তাহের শুক্রবার মিনাখাঁ থানার দেবীতলা কাহারপাড়ায় একটি মাছের ভেড়ি থেকে পুলিশ এক যুবতীর দেহ উদ্ধার করে। মৃত যুবতীর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। সেদিন পুলিশ অবশ্য তাঁর পরিচয় জানাতে পারেনি। পুলিশের পক্ষ থেকে ওই যুবতীর ছবি পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন থানা এলাকায় পাঠানো হয়। ইতিমধ্যে বসিরহাট থানায় এক বধূর নিখোঁজের ডায়েরি হয়। নিখোঁজ বধূর পরিবারের লোকেদের পুলিশ মিনাখাঁয় উদ্ধার হওয়া মৃত যুবতীর ছবি দেখায়। পরিবারের লোকেরা তখন তাঁকে শনাক্ত করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গৃহবধূর নাম রিজিয়া বিবি। তাঁর বাড়ি বসিরহাটের পাইকপাড়া এলাকায়। স্বামীর সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি বাপের বাড়িতে থাকতেন। কয়েক মাস আগে হাড়োয়া থানার অন্তর্গত আমতা খাটরার বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম নামে এক যুবকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। সিরাজুল বিবাহিত। বাড়িতে তার স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। পরিচয় হওয়ার পর থেকে রিজিয়া ও সিরাজুলের পরস্পরের মধ্যে মোবাইল ফোনে কথাবার্তা চলতে থাকে। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, রিজিয়া গভীর রাত পর্যন্ত ওই যুবকের সঙ্গে ফোনে কথা বলতেন। মাস খানেক আগে দুই সন্তানকে ফেলে রিজিয়া সিরাজুলের সঙ্গে চলে যান। ছেলেরা মাকে ফিরে আসতে বললেও রিজিয়া রাজি হননি।
গত বৃহস্পতিবার থেকে বাপের বাড়ির লোকেরা রিজিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। তাঁর মোবাইল ফোনের সুইচ বন্ধ ছিল। ছেলেরাও মায়ের কোনও সন্ধান পাচ্ছিলেন না। শুক্রবার মিনাখাঁর কাহারপাড়া এলাকার ভেড়ি থেকে পুলিশ এক যুবতীর দেহ উদ্ধার করে। রিজিয়ার খোঁজে পরিবারের লোকেরা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করলে, তাঁর খুন হওয়ার কথা জানতে পারেন।
মৃত গৃহবধূর ছেলে শাহিদ মণ্ডল জানিয়েছেন, ‘আমার মাকে সিরাজুলই খুন করেছে। আমরা ওর কঠোর শাস্তি চাই।’ ঘটনার পর থেকে সিরাজুলের আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তার মোবাইল ফোনের সুইচ বন্ধ রয়েছে। পুলিশ তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।