হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথি উপলক্ষ্যে ঠাকুরনগরে শুরু হয়েছে বারুনি মেলা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তদের সমাগম হয়েছে মেলায়। ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়ির কামনা সাগরে ২৭ মার্চ পুণ্যস্নান করেছেন লক্ষাধিক ভক্ত। সেই কামনা সাগরেই এ বার ডুব দিয়ে খুচরো পয়সা কুড়নোর হিড়িক।
অনেক ভক্তরাই মনস্কামনা পূরণের উদ্দেশে এক টাকা, দু’টাকা বা পাঁচ টাকার কয়েন কামনা সাগরে দেন। লক্ষাধিক ভক্তের এ হেন দানে কামনা সাগরে প্রচুর পরিমাণে খুচরো পয়সা জমা হয়। কচিকাঁচা থেকে যুবকেরা এর পর থেকেই নেমে পড়েন কাদা পাঁক মেশানো অল্প জল থাকা ঠাকুরবাড়ির এই পুকুরে।
খুদেদের দাবি, এক একদিনে উঠছে খুচরো ৩০০ থেকে ৫০০ টাকাও। অনেকেরই দাবি, ভাগ্য সহায় থাকলে হাতে আসে সোনা, রুপোও। পয়সা কুড়োতে আসা শুভ দাস নামে এক খুদের কথায়, ‘দিনে দু-তিনশো টাকা মতো জোগাড় হয়। দড়ির মাথায় চুম্বক বেঁধে পয়সা তুলে আনি। এই পয়সা মেলায় খরচা করি।’
মতুয়াদের আরাধ্য হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্ম হয়েছিল ২১৪ বছর আগে চৈত্র মাসের মধুকৃষ্ণ ত্রয়োদশী তিথিতে। ঠাকুরের জন্মতিথি উপলক্ষেই প্রতি বছর ওই তিথিতে বারুনি মেলার আয়োজন করা হয়। পুণ্য তিথিতে লক্ষ লক্ষ মতুয়ার হরিবোল ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা চত্বর। ডঙ্কা, কাঁশি, নিধন নিয়ে প্রদক্ষিণ করে কামনা সাগরে ডুব দেন মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষজন।
প্রসঙ্গত, কামনা সাগর মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে খুবই পবিত্র একটি সরোবর। অনেকেরই বিশ্বাস কামনা সাগরে ডুব দিলে সব রোগ ব্যাধি দূর হয়। পুণ্যস্নানের পর অনেকেরই মনের ইচ্ছে পূরণ হয়ে থাকে। সেই কারণেই লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয় এখানে।