• কালো ধোঁয়ায় ঢেকেছে আকাশ, দুর্গন্ধে টেকা দায়, ভাগাড়ে আগুন লেগে দুর্ভোগ এ বার আসানসোলে
    এই সময় | ৩১ মার্চ ২০২৫
  • হাওড়ার বেলগাছিয়ার ভাগাড় বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বিস্তীৰ্ণ এলাকার মানুষ। এর কয়েকদিন পরেই উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের ভাগাড়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তিতিবিরক্ত হন এলাকার লোকজন। ছাই মিশ্রিত কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় বিস্তীৰ্ণ এলাকা। সোমবার একই সমস্যায় পড়লেন আসানসোলের কালিপাহাড়ি এলাকার মানুষজনও।

    সোমবার সকালে আসানসোলে কালিপাহাড়ির ভাগাড়ে আগুন লেগে গোটা এলাকা কালো, বিষাক্ত ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। কটূ গন্ধে হাঁফিয়ে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভায়। তবে রেহাই মেলেনি দুর্গন্ধের দাপট থেকে। ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী এলাকায় রয়েছে কালিপাহাড়ি, ছাতাপাথর, কখোয়া-সহ আরও কিছু বসতি এলাকা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, আগেও বহুবার এমন পরিস্থিতি হয়েছে। তাঁরা ঘরের দরজা-জানালা খুলে রাখতে পারেন না। ধোঁয়ার তীব্র দুর্গন্ধে শ্বাসকষ্ট হয়। সোমবারও তেমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।

    বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় জানিয়েছেন, ওই ভাগাড়ে পুরসভার পক্ষ থেকে নিয়মিত জল ছিটানো হয়। সেখানে একটি কঠিন বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র বানানো হয়েছে। আবর্জনা থেকে সার প্রস্তুত করা হচ্ছে। আগুন লেগে ভবিষ্যতে যেন আর এমন পরিস্থিতি না হয়, সেই দিকে নজর রাখা হবে।

    প্রসঙ্গত, হাওড়ার বেলগাছিয়ার ঘটনার পর দু’দিন আগেই আসানসোলের ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারের ডাম্পিং গ্রাউন্ড নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আসানসোল পুরনিগমের ১০৬টি ওয়ার্ডের আবর্জনা ফেলা হয় এই ডাম্পিং গ্রাউন্ডে। প্রতিদিন প্রায় ৪০০ টন আবর্জনা ফেলা হয়। জাতীয় সড়কের ধারে আসানসোলের এই ধাপার মাঠ স্থানান্তরের ব্যাপারে আর্জি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। 2007 সালে এখানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিল। এলাকা দূষণে ভরে গিয়েছিল। সঠিক পরিকল্পনামাফিক বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ না হলে এখানেও তৈরি হওয়া মিথেন গ্যাসে বিস্ফোরণ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন সমাজকর্মীরা।

    তথ্য সহায়তা: সুশান্ত বণিক

  • Link to this news (এই সময়)