চারু মার্কেটে যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় বারুইপুর থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতের নাম, সাদ্দাম আলম (৩০)। ধৃতকে গ্রেপ্তারের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের হাতে। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, LGBTQI কমিউনিটির জন্য তৈরি বিশেষ একটি ডেটিং অ্যাপে ঘোরাফেরা ছিল মৃত অবিনাশ বাউরির। সেই অ্যাপেই সাদ্দামের সঙ্গে পরিচয় হয় অবিনাশের। ঘটনার দিন সেই অ্যাপের মাধ্যমেই সাদ্দামকে অবিনাশ ডেকে পাঠান বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, জেরায় সাদ্দাম জানিয়েছে, টাকাপয়সা নিয়ে বচসা শুরু হয় তার সঙ্গে অবিনাশের। সেই বচসার জেরেই এই ঘটনা। খুনের ঘটনায় ছুরি ব্যবহার করা হয়েছে বলেও জানতে পেরেছে পুলিশ।
গত শনিবার চারু মার্কেটে দেশপ্রাণ শাসমল রোডের পাঁচ তলা ফ্ল্যাট থেকে অবিনাশ বাউরি (২২) নামে ওই যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। আসানসোলের বরাকরের বাসিন্দা অবিনাশ সেখানকারই এক বাসিন্দা কুশল ছাবড়ার কলকাতার ফ্ল্যাটে কাজ করতেন। গত কয়েক বছর ধরে ওই ফ্ল্য়াটেই থাকতেন তিনি। চারু মার্কেটের ওই আবাসনে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে ভাড়া থাকেন। কুশলের লেনিন সরণিতে ওয়ালপেপারের দোকান রয়েছে। ঘটনার দিন বাড়িতে কুশল, কুশলের স্ত্রী কেউই ছিলেন না। অবিনাশ একাই ছিলেন।
পুলিশের দাবি, জেরায় সাদ্দাম জানিয়েছেন, ওই ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে সাদ্দামকে ডাকা হয় চারু মার্কেটের ফ্ল্যাটে। পুলিশ সূত্রে খবর, ফ্ল্যাটের নীচে পৌঁছনোর পর অবিনাশই তাঁকে গেটের সামনে থেকে ঘরে নিয়ে যান। সেখানেই টাকাপয়সা নিয়ে কোনও গোলমাল হয়েছিল বলে ধৃতকে জেরা করে জেনেছে পুলিশ।
যে অ্য়াপের মাধ্য়মে অবিনাশের সঙ্গে তার পরিচয় বলে জেরায় সাদ্দাম জানিয়েছেন, সেখানে তাঁরা একে-অন্য়কে কতদিন ধরে চিনতেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এর আগেও অবিনাশের সঙ্গে সাদ্দামের দেখা হয়েছে কি না, সে ব্য়াপারেও দফায়-দফায় জেরা চলছে।