খুশির ঈদে একই সঙ্গে তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস, রিষড়ায় সম্প্রীতির বার্তা দিলেন সকলেই...
আজকাল | ০১ এপ্রিল ২০২৫
মিল্টন সেন
কয়েক হাজার মানুষের উপস্থিতিতে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হল রিষড়া ওয়েলিংটন জুটমিল ময়দানে। সোমবার সকালে নামাজ শুরুর আগেই উপস্থিত হয়েছিলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জি। সঙ্গে ছিলেন সুদীপ্ত রায়, রিষড়ার পুরপ্রধান বিজয় সাগর মিশ্র। উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার এবং সিপিআইএম রাজ্য কমিটির সদস্য তীর্থঙ্কর রায়। সব রাজনৈতিক দলের নেতার মুখেই ছিল সম্প্রীতির বার্তা।
তবে নাম না করে বিজেপিকে টার্গেট করলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ। জানালেন, ‘খুশির ঈদে সবাই ভালো থাকুক। আমাদের দেশ এবং পশ্চিমবঙ্গেও যে সুর বাজে, সেটা হল সম্প্রীতির সুর। যে যাই ধর্ম পালন করুক না কেন, উৎসব সকলের। মিলে পালন করুন। দুর্গাপুজো, ঈদ, বড়দিন সবাই একসঙ্গে পালন করুন। মিষ্টতা থাকবে সুরে। সেই সুর যেন বজায় থাকে। অপশক্তি এই সুরের বাইরে গান গায়, যে অপশক্তি সম্প্রীতিকে নষ্ট করে, ঈদের দিনে প্রার্থনা করি সেই অপশক্তি যেন বিনষ্ট হয়।
বিজেপিকে ‘সাম্প্রদায়িক’ বলে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন কংগ্রেস রাজ্য সভাপতি শুভঙ্কর সরকারও। তিনি জানিয়েছেন, ‘খুশির ঈদের কয়েকদিন পরেই রামনবমী। প্রশাসনকে সজাগ থাকতে হবে, এই দুই উৎসবেই যাতে সম্প্রীতি বজায় থাকে। আমি প্রার্থনা করব যাতে সবার ঘরে আলো থাকুক। এর মধ্যেও কিছু কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। প্রশাসন যদি সঠিকভাবে সেটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে তাহলে ভাল হয়। ভ্রাতৃত্ব বোধের উপরে আমাদের আস্থা আছে। এর মধ্যেও রাজনৈতিক দল ধর্মীয় মেরুকরণ করার চেষ্টা করছে। এই বাংলা রামকৃষ্ণের মাটি। এখানে সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে থাকুক’।
একইসঙ্গে কয়েক হাজার মানুষের উপস্থিতিতে ঐতিহ্যবাহী ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয় পান্ডুয়া কলবাজার জিটি রোডে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন হুগলির সাংসদ রচনা ব্যানার্জি। ঈদ উপলক্ষে সকাল সাতটা থেকে পাণ্ডুয়া জি টি রোডে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশের তরফে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ছিল কড়া পুলিশি নিরাপত্তা।
উপস্থিত ছিলেন হুগলি জেলা পুলিশ গ্রামীণের ডিএসপি ক্রাইম অভিজিৎ সিনহা মহাপাত্র। হুগলি চুঁচুড়া কারবালা মসজিদেও ঈদের নামাজে অংশগ্রহণ করেন কয়েক হাজার মানুষ। উপস্থিত ছিলেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার, চুঁচুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান অমিত রায়, পুর পরিষদ সদস্য জয়দেব অধিকারী। প্রচণ্ড গরমে মসজিদের বাইরে পুরসভার তরফে ক্যাম্প করা হয়েছিল। স্বাস্থ্যকর্মীরা ওআরএস, জল, ফাস্ট এইড নিয়ে উপস্থিত ছিলেন।