• জলে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়াতে বিশেষ যন্ত্র সুভাষ সরোবরে
    এই সময় | ০১ এপ্রিল ২০২৫
  • এই সময়: সুভাষ সরোবরের জলে অক্সিজেনের পর্যাপ্ত জোগান দিতে এ বার ‘এয়ারেটর’ যন্ত্র বসাতে চলেছে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)। সরকারি সূত্রের খবর, সুভাষ সরোবর জুড়ে মোট ৮টি যন্ত্র বসানো হবে। এই এয়ারেটরে এক ধরনের চাকা লাগানো থাকে, যা ঘোরার ফলে জলে গভীরে আলোড়ন হবে এবং তাতে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়বে জলে। পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের বিজ্ঞানী ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করেই এই নতুন যন্ত্র বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    সুভাষ সরোবরের জলাশয়ের আয়তন প্রায় ৩৯.৫ একর। দীর্ঘদিন ধরেই মাঝেমধ্যে সরোবরে মাছ-সহ একাধিক জলজ প্রাণী মরে ভেসে ওঠার ঘটনা ঘটে। কেন মড়কের ঘটনা ঘটছে, তা বুঝতে সম্প্রতি বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়া হয়। পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের একাংশ বহুদিন ধরেই দাবি করছিলেন, জলে অক্সিজেন কমার জেরে সরোবরে মাছ ও অন্যান্য প্রাণী মারা যাচ্ছে। সরকার নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটিও সেই কারণের কথাই কেএমডিএ কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরেছেন।

    কমিটির সদস্যদের বক্তব্য, আবহওয়ার তারত্যমের কারণে জলে সব সময়ে পর্যাপ্ত সূর্যের আলো পড়ে না, তার ফলে জলে অক্সিজেনের মাত্রাও ঠিক থাকে না। কেএমডিএর এক কর্তা বলেন, ‘এয়ারেটরের চাকা জলের মধ্যে অনবরত ঘুরবে। যা জলে অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করবে। মাছ ও অন্য জলজ প্রাণীরা ভালো ভাবে থাকতে পারবে। তবে অন্তত ৩০-৪০ মিটার অন্তর এমন যন্ত্র একটি করে বসাতে হবে।’

    পরিবেশ বিজ্ঞানী স্বাতী নন্দী চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘যে সব জলাশয়ে মাছ ও জলজ প্রাণী বেশি, সেই সব জায়গায় এই ধরনের যন্ত্রের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সুভাষ সরোবরে তো শুধু মাছ নেই, কচ্ছপ-সহ বিভিন্ন ধরনের জলজ প্রাণী রয়েছে। ফলে, সুভাষ সরোবরে এই ধরনের যন্ত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিক নেবে। তবে যন্ত্র বসানোর পর তা ঠিক ভাবে চলছে কি না, তাতেও নজর রাখতে হবে।’ পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্তের দাবি, ‘শুধু জলে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ালেই হবে না। সরোবরে নিয়মিত প্লাস্টিক ফেলা হয়। টানা বৃষ্টি হলে নোংরা জল ঢুকে সরোবরে দূষণের মাত্রা বাড়াচ্ছে। এই সমস্যা সমাধানেও পদক্ষেপ জরুরি।’

  • Link to this news (এই সময়)