সোমবার পর্যন্ত ছিল ভাড়া ছিল পাঁচ টাকা। রাত পেরিয়ে ভোর হতেই সেই একই পথ পার হতে ফেরির ভাড়া হয়ে গেল দ্বিগুণ। বিনা নোটিসেই এক লাফে ভাড়া দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়ল জনতা। বিক্ষোভ থামাতে লাঠি চার্জ করতে পুলিশ হলো পুলিশকে। ফেরির ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে সকাল থেকেই তুলকালাম পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাট থানার নসরতপুর পঞ্চায়েতের মনমোহনপুর ফেরিঘাট।
বর্ধিত ভাড়াকে কেন্দ্র করে রীতিমতো পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। রাতারাতি ভাড়া বেড়ে দ্বিগুণ হওয়ায় প্রতিবাদে সকাল থেকেই অশান্ত হয়ে ওঠে মনমোহনপুর ফেরিঘাট চত্বর। বিক্ষোভ থামাতে এলে পুলিশের সঙ্গেই বচসা বেঁধে যায় ক্ষুব্ধ জনতার। এমনকী, জনতার সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে বলে খবর। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
মনমোহনপুর ফেরিঘাটে পয়লা এপ্রিল থেকে দুই পাড়ে আসা যাওয়ার জন্য গুণতে হবে দ্বিগুণ ভাড়া। ব্যক্তি প্রতি ভাড়া ৫ টাকা থেকে বেড়ে রয়েছে ১০ টাকা। সাইকেল নিয়ে ফেরিতে উঠলে ৬ টাকার বদলে দিতে হবে ১২ টাকা। পাশাপাশি মোটরসাইকেল নিয়ে ফেরিতে উঠলে এ বার দিতে হবে ১৫ টাকার বদলে ৩০ টাকা। সকাল থেকে এই ভাড়া কার্যকর হতেই শুরু হয় দফায় দফায় উত্তেজনা ও বিক্ষোভ। ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ জনতার রোষ থেকে বাঁচতে খবর দেয় পুলিশে। কিন্তু পুলিশ এলে উল্টে আরও বেড়ে যায় উত্তেজনা। স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবি, পুলিশ লাঠিচার্জ করার কারণেই আরও অশান্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
এই প্রসঙ্গে নসরতপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মোমিন হোসেন মণ্ডল জানিয়েছেন, ‘জেলা পরিষদের নির্দেশে ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই কার্যকর হয়েছে নয়া ভাড়া। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার কথা মাথায় রেখে তা বাড়ানো হয়নি। কিন্তু আজ এই থেকে বর্ধিত ভাড়া চাওয়া হতেই উত্তেজনা ছড়ায়। আলোচনার জন্য দুই পাড়ের সবাইকে ডাকা হয়েছিল।’
ঘাট মালিকের তরফে গঙ্গা চৌধুরী বলেন, ‘ভাড়া বৃদ্ধি আলোচনা সাপেক্ষ। আমরা বহুবার বলা সত্ত্বেও, তারা কোনও জবাব দেয় না।’