দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার ঢোলাহাটের রায়পুরে সোমবার রাতে বাজি বিস্ফোরণে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাড়ির ভিতর অবৈধ ভাবে বাজি মজুত ছিল বলে উঠেছে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, গোটা ঘটনাই এখনও তদন্তসাপেক্ষ। একজনকে আটকও করেছে পুলিশ। তবে বাংলায় বাজি বিস্ফোরণে মৃত্যুর ঘটনা নতুন নয়। গত কয়েক বছরে বার বার প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে বৈধ অবৈধ ভাবে থাকা এই কারখানাগুলি। ঢোলাহাটের আবহে ফিরে দেখে যাক সেই সব ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা।
নদিয়ার কল্যাণীর রথতলায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয় চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি। ৪ জনের মৃত্যু হয় সেই ঘটনায়।
চম্পাহাটির হাড়ালে এক বাজি ব্যবসায়ীর বাড়িতে বিস্ফোরণ হয় ২০২৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ভেঙে পড়ে বাড়ি।
২০২৪ সালের নভেম্বরে হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৩ জন মারা যান।
২০২৩ সালে মালদার ইংরেজবাজারে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের বলি হন ২ জন।
২০২৩ সালের ১৬ মে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুলে বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। এগরা-১ ব্লকের সাহাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের খাদিকুলে অবৈধ বাজি কারখানার ১১ জনের মৃত্যু হয়।
২০২৩ সালের ২১ মে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজের চিংড়িপোঁতা নন্দরামপুর গ্রামে বেআইনি বাজি কারখানায় ঝলসে মৃত্যু হয় ৩ জনের।
২০২৩ সালের ২৭ অগস্ট উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরে নীলগঞ্জে বাজি বিস্ফোরণে মারা গিয়েছিলেন ৭ জন। একেবারে ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল দেহগুলি।
২০১৫ সালের ৬ মে পিংলা থানার ব্রাহ্মণবাড়ে অবৈধ বাজি কারখানা বিস্ফোরণে ধ্বংসস্তূপের চেহারা নেয়। ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তার মধ্যে ছিল বেশ কয়েকজন কিশোরও।
বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে তালিকায় জায়গার নাম যেমন জোড়ে, তেমনই মৃতদের নামের তালিকাও দীর্ঘ হয়। পিংলা সময়েই নানা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ঘোষণা হয়েছিল। কিন্তু সেই বছরই পশ্চিম মেদিনীপুরে ফের একই ঘটনা ঘটে। ফলে প্রশ্ন থেকেই যায়, এর শেষ কোথায়।